IQNA

কিভাবে ইমাম মাহদীর হজে শরিক হওয়া সম্ভব?

21:36 - September 14, 2016
সংবাদ: 2601570
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: «تَمَامُ الْحَجِّ لِقَاءُ الْإِمَام» যারা প্রকৃতভাবে হজ পালন করবে তারা ইমাম মাহদীর সাক্ষাত পাবে, তবে এই সাক্ষাত শুধু বাহ্যিক নয় বরং তা আধ্যাত্মিক সাক্ষাত।


শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: হুজ্জাতুল ইসলাম মুয়িনি বলেন, ইমাম মাহদীর সাথে সম্পর্ক তাকে সঠিকভাবে চেনার মাধ্যমে অর্জিত হয়। যদি প্রতীক্ষাকারী ইমামের সঠিক পরিচিতি অর্জন করতে পারে তাহলে সে এখন থেকেই নিজেকে ইমাম (আ.)-এর পক্ষে অনুভব করবে।

অর্থাৎ মনে করবে যে, সে ইমামের (আ.) তাবুতে তার পাশেই অবস্থান করছে। সুতরাং কখনোই সে ইমামের (আ.) দলকে শক্তিশালী করার জন্য সামান্যতম সময়কেও হেলায় কাটাবে না।

ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: من مات و هو عارف لامامه لم یضره تقدم هذا الامر او تأخر و من مات و هو عارف لامامه کان کمن هو مع الفائم فی فسطاطه

যে ইমামকে (আ.) সঠিকভাবে চিনে মৃত্যুবরণ করবে ইমামের আবির্ভাব দেরীতেই হোক আর নিকটেই হোক তার জন্য কোন ক্ষতির কারণ নয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইমামকে (আ.) সঠিকভাবে চিনে মৃত্যুবরণ করবে সে সেই ব্যক্তির ন্যায় যে, ইমামের (আ.) তাবুতে তার পাশেই অবস্থান করছে।

এই পরিচিতি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে ইমামগণ (আ.) বলেছেন, তা অর্জন করার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।

তিনি বলেন: যেহেতু যারা হজ করতে যায় তাদের অধিকাংশই তাদের জামানার ইমামকে চেনে না সুতরাং তাদের হজ সঠিক হয় না। শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক খালেস শিয়াদের হজই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়।

ইমাম সাজ্জাদ(আ.) বলেছেন, হজে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখা যায় তারা কেউ হাজি নয় বরং আপনার শুধু একদল লোকের চিৎকারই শুনে থাকেন। প্রকৃত হাজিদেরকে অবশ্যই হযরত ইব্রাহীমের মত শয়তানের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।

প্রকৃত হজ হচ্ছে শয়তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং আল্লাহর আনুগত্য করা। হযরত ইসমাইল হযরত ইব্রাহীমকে বললেন: «یا أبَتِ إفعَل ما تُؤمَر» হে বাবা! আপনি যে কাজের জন্য আদেশ প্রাপ্ত হয়েছেন তা পালন করুন, আমাকে আপনি অনুগত ও ধৈর্যশীল হিসাবে পাবেন।
captcha