শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: তেহরানে ইসলামি বিপ্লবের নেতা ইমাম খোমেনীর মাজারের কাছে প্রধান সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, ইরানের আরো বেশ কয়েকটি প্রদেশে এ কুচকাওয়াজ হয়। তেহরান কুচকাওয়াজে ইরানের সামরিক বাহিনী প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তাদের নানা রকম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ সর্বশেষ সামরিক অর্জনগুলো তুলে ধরে। এর পাশাপাশি রাশিয়া থেকে আনা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইরানে তৈরি ইমাদ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
সেনাবাহিনী তার নতুন প্রজন্মের জুলফিকার যুদ্ধট্যাংক, ফজর ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের যান এবং ১২০ মিলিমিটারের ‘কিয়ান সেল্ফ প্রপেল্ড গান’ প্রদর্শন করে।
প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর আব্বাস নগরীতে নৌবাহিনী বিশাল কুচকাওয়াজের আয়োজন করে। এতে ৫০০ নৌযান, সাবমেরিন, জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এখানে ইরানের পদাতিক বাহিনী নিজেদের তৈরি করা জুলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে। এ ক্ষেপণাস্ত্র এইকসঙ্গে কয়েকটি ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এটি হচ্ছে ইরানের সর্বশেষ তৈরি করা দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং এটি ভূমিতে ও বিমানঘাঁটির টারমাক এবং রানওয়েতে সুনিপূণভাবে হামলা চালাতে সক্ষম।
গতকালের (২১ সেপ্টেম্বর) কুচকাওয়াজে ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ হোসেইন বাকেরি প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির পক্ষ থেকে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, পূর্ব এবং পশ্চিমের সমর্থনপুষ্ট সাদ্দাম ইরানের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিলেও ইরানের জনগণ তা সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন। ফলে সাদ্দাম তার লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হন। যুদ্ধের মাধ্যমে ইরানের জনগণকে পদানত করা যায় নি। পরে নিষেধাজ্ঞার মতো নিষ্ঠুর ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েও ইরানকে কোণঠাসা করা যায় নি বরং কীভাবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো যায় ইরানের সেনারা তা শিখেছেন। তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যে শত্রুর প্রতিটি পদক্ষেপকে ইরানের সেনারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। মুসলিম দেশগুলোর অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকা প্রক্সি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
iqna