সিরিয়ায় চলমান সংকট নিয়ে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে (শুক্রবার) মোগেরিনি তেহরান পৌঁছান।
আলোচ্য সূচির অংশ হিসেবে তিনি আজ দিনের প্রথমভাগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের সঙ্গে বৈঠক করেন। তেহরান এবং ইইউ’র মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। সিরিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ায় ইইউ’র ‘গঠনমূলক’ ভূমিকার প্রশংসা করে সংস্থাটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইরান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাওয়াদ জারিফ।
মস্কোয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী (২৮শে অক্টোবর) সের্গেই ল্যাভরভ ও সিরিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেমের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর মোগেরিনি তেহরান সফর করছেন।
২০১১ সালের মার্চ থেকে উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংসতা শুরু হয় সিরিয়ায়। মার্কিন নেতৃত্বাধীন কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ও সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তি উগ্র সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিয়ে আসছে।
এর বিপরীতে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অভিযানে সিরিয়ার সরকারকে সামরিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে ইরান। এছাড়া, দামেস্কের অনুরোধে সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাশিয়া গত বছর থেকে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনির সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সন্ত্রাসীদের সমর্থকদের সম্পর্কে বলেন: বর্তামানে সন্ত্রাসীদের যে কোন প্রকার সমর্থনের মানে হচ্ছে তাদেরকে ভবিষ্যতের আশা দেওয়া। যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন কারণে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় তাদের সামরিক বাহিনী ব্যবহার না করে, সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের আঞ্চলিক সমর্থকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের সকল প্রকার সাহায্য বন্ধ করে দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. হাসান রুহানি আরও বলেন: বর্তমানে যদি গুরুত্বের সাথে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এসকল অঞ্চল ও উত্তর আফ্রিকায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে তাদের প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।