আয়াতুল্লাহ খাতামি আরও বলেছেন, ইরানি জাতি কখনোই মার্কিন বলদর্পী নীতির কাছে নতিস্বীকার করবে না এবং প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে।
আমেরিকার নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, "হুমকি ও বিদ্বেষপূর্ণ নীতির পরিণতি ভালো হয় না। এ ধরনের নীতি পরিহার করে নিজ দেশের জনগণের সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিন।"
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ (আইএসআইএল) আমেরিকার জনগণের ট্যাক্সের অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু দেশটির জনগণই এখনও অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। আয়াতুল্লাহ খাতামি বলেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও যদি আগের প্রেসিডেন্টদের মতো একই পথে চলেন তাহলে তিনিও বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তিতে পরিণত হবেন।
ইরাকের মসুলে দেশটির সেনাবাহিনী ও গণপ্রতিরোধ বাহিনীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মসুল অভিযানে অন্য কোনো দেশের সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশ অপ্রয়োজনে মসুলের দিকে সেনা পাঠিয়েছে।
আয়াতুল্লাহ খাতামি বলেন, মসুল হচ্ছে ইরাকের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্য কোন দেশ ওই অঞ্চলের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি উল্লেখ করেছেন যে, আমেরিকার ৪০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে এবং দুই হাজার বিলিয়ন ডলার দেশটি বাজেট ঘাটতি।