বর্তমানে শুধুমাত্র ইমাম মাহদীর(আ.) হুকুমত প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সর্বদা ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের জন্য প্রস্তুত থাকা এবং পরহেজগার ও মোত্তাকি হওয়া।
ইমাম মাহদীর(আ.) প্রতীক্ষাকারী হিসাবে আমাদেরকে ইমাম মাহদীর(আ.) শাসন ব্যবস্থা যেমন হবে ঠিক সেভাবেই চলতে হবে।
যদিও নবীগণ(আ.)এবং ইমামগণের (আ.)মত রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব তথাপি আমরা সেই লক্ষের দিকে অগ্রসর হতে পারি।
আল্লাহর ন্যায় পরায়ণতা ইমাম মাহদীর(আ.) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। পবিত্র কুরআন এবং বিভিন্ন হাদিস থেকেও প্রমাণিত হয় যে, ইমাম মাহদীর(আ.) সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ন্যায়পরায়ণতা। یملأ الله به الارض قسطا و عدلا». তিনি পৃথিবীকে ন্যায় নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন।
ইমাম মাহদীর(আ.) সাথে জনগণের আন্তরিকতা একটি অপরিহার্য বিষয়। কেননা প্রকৃত প্রতীক্ষাকারী সর্বদা ইমামের অপেক্ষায় থাকে এবং ইমামের ভালবাসা বুকে নিয়েই বেচে থাকে।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, খুব শীঘ্রই তোমদের মসজিদ(মক্কায়) ৩১৩জন মু’মিন ব্যক্তি আসবে যারা তোমাদের বংশের নয় এবং তোমাদের পরিচিত কোন আপন লোকও নয় এমনকি তারা মক্কার লোকও নন। তাদের প্রত্যেকের তলোয়ারে এমন কলেমা বা বাক্য লেখা থাকবে যার থেকে হাজার হাজার কঠিন বাক্যের সমাধান করা সম্ভব।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) তার বিশিষ্ট সাহাবা এবং ছাত্র মুফাজ্জান বিন ওমারকে বলেন, তুমি এবং তোমার সাথে আরও ৪৪ জন মু’মিন ব্যক্তি ইমাম মাহদীর সৈন্যদের সাথে যোগদান করবে। এরা সকলেই ইমাম জাফর সাদিকের বিশিষ্ট ছাত্র ও সাহাবা ছিলেন।
তিনি আরও বলেছেন: ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পর কাবা ঘরের পিছন দিক থেকে ২৭ জন মু’মিন ব্যক্তি তার সাথে যোগ দিবেন, আরও ২৫ জন কাবা ঘরের অন্য প্রান্ত থেকে ইমাম মাহদীর সাথে যোগ দিবেন। তারা সকলেই হযরত মুসার গোত্রের এবং বিচারক ন্যায়পরায়ণ হবেন। এছাড়াও আসহাবে কাহফের ৭জন ইমাম মাহদীর সাথে যোগ দিবেন এবং ইউশা বিন নুন, মোমেনে আলে ফিরাউন, সালমান ফার্সি, আবা দাজানা আনসারী এবং মালেক আশতার দুনিয়ার ফিরে এসে ইমাম মাহদীর সাথে যোগ দিবেন। কিছু হাদিসে মেকদাদ বিন আসওয়াদের কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আল্লাহর ফেরেশতারা মু’মিন ব্যক্তিদের লাশসমুহকে ভাল স্থানে স্থানান্তরিত করেন। সুতরাং এই সকল মু’মিন ও মুত্তাকী ব্যক্তিরা ফেরেশতাদের মাধ্যমে পবিত্র মক্কায় স্থানান্তরিত হয়েছেন।