বার্তা সংস্থা ইকনা: নাইজেরিয়ার মিডিয়ায় জানিয়ে, আদালত ঘোষণা দিয়েছে, ইসলামী আন্দোলনের প্রধান আল্লামা শেখ ইব্রাহিম ইয়াকুব জাকজাকিকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এজন্য তার মুক্তির রায় ঘোষণা দিয়েছে নাইজেরিয়ার ফেডারেল হাইকোর্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজা ফেডারেল হাইকোর্ট গতকাল (২য় ডিসেম্বর) ইসলামী আন্দোলনের প্রধান আল্লামা শেখ ইব্রাহিম ইয়াকুব জাকজাকি এবং তার স্ত্রী'র মুক্তির রায় ঘোষণা করেছে।
নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী গতবছর ১৬ই ডিসেম্বর আল্লামা জাকজাকির বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সামরিক বাহিনীর এই হামলায় ৩৪৭ জন শিয়া মুসলমান নিহত হয়েছে।
কোন অভিযোগ ছাড়াই শেখ জাকজাকিকে গ্রেফতার করা হয় এবং এতদিন তিনি বিনা বিচারে জেলখানায় বন্দি ছিলেন।
শেখ জাকজাকির উকিল "ফামি ফালানা" বলেছেন: ইসলামী আন্দোলনের প্রধান আল্লামা শেখ ইব্রাহিম ইয়াকুব জাকজাকিকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা অবশ্যই আদালতকে বলতে হবে।
ইয়াকুব জাকজাকির গ্রেফতারের কারণ এবং কেন তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না তা অবশ্যই আদালতকে বলতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। কারণ, তাকে গ্রেফতার করে রাখার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বে-আইনি।
এদিকে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষেবা পূর্বে ঘোষণা করেছে, শেখ জাকজাকির সুরক্ষার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে! কিন্তু আদালত ঘোষণা করেছে, সুরক্ষার জন্য শেখ জাকজাকি এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে রাখার বিষয়টি কোন আইনের মধ্যে আসে না।
আদালতের বিচারক গ্যাব্রিয়েল কুলাউল যুক্তি তুলে ধরেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থাৎ যদি শেখ জাকজাকিকে দীর্ঘমেয়াদীর বন্দি করে রাখা হয় তাহলে সেটা অনেক বিপদজনক হবে। কারণ, এর মাধ্যমে তার মৃত্যুও হতে পারে।
গ্যাব্রিয়েল কুলাউল বলেন: সরকারকে অবশ্যই ৪৫ দিনের মধ্যে শেখ ইব্রাহিম ইয়াকুব জাকজাকি এবং তার স্ত্রী'কে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে এবং পুলিশও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করবে।
এছাড়াও আদালত, নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষেবাকে নগদ অর্থ জরিমানা করেছে এবং নগদ অর্থ শেখ জাকজাকির হাতে হস্তান্তর করার কথা বলেছে।
নাইজেরিয়ায় শিয়া নৃশংস নিপীড়ন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়েছে। সেদেশের কাদুনা রাজ্যের জারিয়া শহরে 'বাকিয়া তুল্লাহ' নামক একটি হুসাইনিয়া সামরিক বাহিনীর হামলার ফলে এই এই শিয়া নৃশংস নিপীড়নের সূচনা হয়।
নাইজেরিয়ার শিয়া মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে অনেক আন্তর্জাতিক স্থান তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।