শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: যুবুর-এ এই সুসংবাদ লিখিত আছে যে, যারা খোদার এবাদত করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় তারা জানুক যে, সৎকর্মের প্রতিদান শুধু পরকালের জন্যই নির্দিষ্ট নয়। বরং দুনিয়াতেও খোদা এরূপ মানুষের রাজত্ব ও শাসন ক্ষমতা প্রদান করেন। তবে বাহ্যত, নির্দেশটি সেই আমলের জন্য বিশেষত্ব ছিল।
পবিত্র কুরআনের সূরা কাসাসের ৫ নং আয়াতেও বর্ণিত হয়েছে: «وَنُريدُ أنْ نَمُنّ عَلَي الّذينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الارْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أئمًّْة وَنَجْعَلَهُمُ الْوارِثينَ؛
আর আমি চাইছিলাম, যাদের দেশে হীনবল করা হয়েছে আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করি, ও তাদের নেতা নিযুক্ত করি এবং তাদেরই দেশের উত্তরাধিকারী নিয়োগ করি।
ইমাম মাহদীর হুকুমতের নামসমূহ হচ্ছে নিম্নরূপ:
১। মূলক, ২। খেলাফত, ৩। দৌলত, ৪। সালতানাত,৫। বেলায়াত।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) খলিফা হওয়ার পর সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু কেন জনগণ তাকে পরিত্যাগ করেছিল, অথচ তারাও সত্যকে প্রতিষ্ঠার কথা বলত। মূল কারণ হচ্ছে তারা চাইত কেবল ঐ সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক যা তাদের পক্ষে যাবে। সুতরাং যে সত্য তাদের স্বার্থ হাসিলে বাধা দিবে সে সত্য তারা প্রত্যাখ্যান করবে।
শেষ জামানার পরিস্থিতি ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, সেদিন থেকে সাবধান থেক যেদিন ন্যায়কে অন্যায় মনে করা হবে আর অন্যায়কে ন্যায় মনে করা হবে।
আর বর্তমানে ঠিক সেই অবস্থাই দেখো দিয়েছে, মেয়েরা হিজাব পরে বের হলে তাদেরকে উপহাস করা হয় অথচ বেহায়াপনা করলে তাদেরকে উৎসাহিত এবং প্রশংসা করা হয়।
অতএব আসুন আমাদের যুবকদেরকে এই সকল অন্যায় পথ থেকে মুক্তি দিয়ে সত্য ও সঠিক পথে নিয়ে আসি তাহলেই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ত্বরান্বিত হবে।