বার্তা সংস্থা ইকনা: ১৯২২ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে গ্রিক সৈন্যরা তুরস্কের বেলা জেক শহরে হামলা চালিয়ে সব কিছু মাটির সাথে মিলিয়ে দিয়েছে এবং তখন ঐ শহরের অধিবাসীরা নিজেদের গৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
গ্রিক সৈন্যদের হামলা এবং দখলদারিত্বের পর বেলা জেকের অধিবাসীরা পুনরায় তাদের শহরে ফিরে এসে প্রাচীন বেলা জেক শহরকে নতুন ভাবে নির্মাণ করে। এরপর থেকে প্রাচীন শহর বেল জেক শহরটি 'ইয়ানিক লোর' (পোড়া শহর) নামে নামকরণ করা হয়। বর্তমানে ঐ শহরে কিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের শুধুমাত্র মিনারের চিহ্ন পাওয়া যায়, যেগুলো প্রাচীন বেলা জেক শহরের সাক্ষ্য দেয়।
মসজিদ সমূহের মিনারগুল বেলা জেক শহরের প্রতীক হিসেবে দাড়িয়ে রয়েছে। মিনারগুলো এক সময় উক্ত শহরের মসজিদ ছিল। কিন্তু গ্রিকদের হামলার ফলে মসজিদগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মসজিদের কাঠের অংশগুলো পুড়ে গিয়েছে এবং শুধুমাত্র পাথরের মিনারগুল রয়েছে।
তুরস্কের ব্রুসা শহরের রাবওয়াহ এবং বেলা জেকের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের গবেষণা অনুযায়ী, গ্রিকের সৈন্যরা এই শহর দখল করার সময় পাঁচটি মসজিদ ধ্বংস করেছে। মসজিদগুলো হচ্ছে যথাক্রমে 'ওসমান গাজী', 'উরখান গাজী', 'উক ক্লোলদ্রিম', 'আমির লার', "এবং" কারেহ চেহ-লোর'।
এসকল মিনার 'দুঃখিত মিনারসমূহ' নামে প্রসিদ্ধ। বর্তমানে মিনারগুল বেলা জেক শহরের প্রতীক এবং পর্যটকদের আকর্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'উরখান গাজী' মসজিদটি ১৩৩১ থেকে ১৩৩২ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছে। ৩০ মিটার জমির ওপর মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। গ্রিক সৈন্যরা এই মসজিদে তাদের অস্ত্রের গুদামে পরিণত করেছিল।
গ্রিক সৈন্যদের হাত থেকে বেলা জেক শহরটি মুক্ত করার জন্য এই মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে বাকী চারটি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করা হয়নি এবং সেগুলোর শুধুমাত্র মিনারগুলো অক্ষত রয়েছে। যা দেখে বোঝা যায় যে, সেখানে একসময় মুসলমানেরা ইবাদত করত।
ব্রুসা শহরের এনডাউমেন্ট ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাসমুহ রক্ষা এবং পরিষ্কার করার সময় বেশ কিছু কাঠ এবং কাঠের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ সরঞ্জামই গ্রিক সৈন্যদের বোমা বর্ষণের ফলে পুড়ে গিয়েছে।
এই সময় গ্রিক সৈন্যদের কিছু অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
iqna