বার্তা সংস্থা ইকনা: তেহরানের বেহেশতি জাহরায় কবরস্থানে ১৩ জনের দাফন অনুষ্ঠান হয়েছে; বাকি তিনজনের মৃতদেহ পারিবারিক গোরস্তানে দাফনের জন্য নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
দাফনের আগে তেহরানের ইমাম খোমেনী ঈদগাহ ময়দানে ১৬ জনের বিশাল জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নিয়েছেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তাসহ লাখ লাখ মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের জানাযায় ব্যাপক মানুষকে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিতে তেহরানের মেট্রোরেলে বিনা টিকেটে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
দাফন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী এক বার্তায় নিহত সদস্যদের ভূঁয়সী প্রশাংসা করেছেন।
তিনি বলেছেন, প্লাস্কো ভবনের আগুন নিভিয়ে দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এসব সদস্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারা ছিলেন "সাহসী ও ঈমানদার” অগ্নিনির্বাপক কর্মী।
আায়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ১৯৮০ সালের দিকে ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দামের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধের সময় সেনাদের জীবন উৎসর্গ করার স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের এসব সদস্য। তিনি বলেন, "ফায়ার সার্ভিসের নিহত সদস্যরা দেখিয়ে দিয়েছেন- ঈমানদার ইরানি নাগরিকরা তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কতটা কঠোর ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন দিতেও ইতস্তত করবেন না। ঝুঁকিপূর্ণ কঠিন সেবা দিতে গিয়ে এসব সদস্য শহীদ হয়েছেন; ইনশাল্লাহ আমরা তাদেরকে ভুলব না।”
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি সকালের দিকে প্লাস্কো ভবনে আগুন লাগে। আগুন লাগার তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরে ১৭ তলা এ ভবন ধসে পড়ে। এ সময় আগুন নেভানোর দায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসের বহু সদস্য ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েন। কয়েকদিনের প্রচেষ্টায় ভবনের ধ্বংসস্তুপ সরানোর পর মোট ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১৬ জন কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৩৫ জন।