
বার্তা সংস্থা ইকনা: এসব লিফলেটে সেখানকার বেসামরিক অধিবাসীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের নির্মূল করতে তাদের সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালানো হবে। হামলার লক্ষ্য কখনোই বেসামরিক ব্যক্তি নয়। বেসামরিক ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ থাকল তারা যেন কোনোভাবেই ঘর থেকে বের না হন। একইসঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের কোনো স্থাপনার আশেপাশে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী সাধারণত যে কোনো জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালানোর আগে সেখানে আগে থেকেই নানাভাবে সতর্কবার্তা পৌঁছায়। এ লক্ষ্যে বিমানযোগে লিফলেট ফেলাকেই নিরাপদ মনে করে সেদেশের সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়া হামলা শুরুর আগে নানা উপায়ে সন্ত্রাসীদের অবস্থানস্থলসহ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়। এরপরই সেসব স্থানে হামলা করা হয়।
ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গিদের ওপর হামলার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে যাতে কোনো বেসামরিক ব্যক্তির প্রাণহানি না ঘটে। জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হতে গোয়েন্দা তথ্যও কাজে লাগানো হয়। অনেক সময় বেসামরিক লোকদের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে অভিযান ব্যর্থ হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী জঙ্গি বিরোধী অভিযান এগোয় না। তবে গত কয়েক মাসে ইরাকে জঙ্গিদের কবল থেকে বহু এলাকা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে সেদেশের সশস্ত্র বাহিনী। সূত্র: parstoday