IQNA

গাম্বিয়ার প্রতিনিধি:

কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিয়াদের সম্পর্কে আমার ধারণা পরিবর্তন হয়েছে

20:43 - April 25, 2017
1
সংবাদ: 2602956
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে আসার পূর্বে শিয়া মুসলমানদের সম্পর্কে অনেক অতিরঞ্জিত অভিযোগ শুনেছি। তবে ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর শিয়াদের সম্পর্কে আমার ধারণা পরিবর্তন হয়েছে।
কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিয়াদের সম্পর্কে আমার ধারণা পরিবর্তন হয়েছে
বার্তা সংস্থা ইকনা'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে গাম্বিয়ার ২৪ বছরের প্রতিনিধি 'আব্দুল আজিজ আল সিলা' বলেন: গাম্বিয়ার জনগণের মধ্যে শিয়াদের সম্পর্ক অনেক ভ্রান্তি ধারণা বিরাজ করছে। ইরানের আসার পর বুঝতে পারি যে, শিয়াদের বিরুদ্ধে সকল অতিরঞ্জিত অভিযোগ মিথ্যা। আহল সুন্নতেরে অনুসারীদের সাথে শিয়া মুসলমানেরা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে। কুরআনিক বিজ্ঞান, হেফজ এবং তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত প্রাধান্য দেশ সমূহের তুলনায় ইরান অনেক এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন: আমি একজন কুরআন প্রেমী। ইরানী সরকার কুরআনের প্রোগ্রাম এবং ক্বারিদের প্রতি বিশেষ সমর্থন করেন। এজন্য জীবন যাপনের জন্য ইরানকে বেছে নিতে ইচ্ছা করছে।
আব্দুল আজিজ ইসলামী রাষ্ট্র মরিতানিয়ার 'আজুলে ওসমান' ইন্সটিটিউটে কুরআন হেফজ করেছেন। পাঁচ বছরে তিনি সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছেন। তবে ইরানের ৩৪তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তিলাওয়াত বিভাগে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় এটাই তার প্রথম অংশগ্রহণ।
আব্দুল আজিজ বলেন: গত বছর গাম্বিয়ার জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানের অধিকারী হয়েছি এবং আগামী বছরেও যদি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ পায় তাহলে আমি নিশ্চিত যে, শীর্ষ স্থানে উত্তীর্ণ হবো।
তিনি বলেন: এই প্রতিযোগিতায় লড়াই করা আসলেই অনেক কঠিন। কারণ, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যেরই তিলাওয়াতের টেকনিক, কুরআন প্রতি আধিপত্য এবং তিলাওয়াতের মান অনেক অধিক।
গাম্বিয়ার ক্বারি পবিত্র কুরআনের সূরা বানি ইসরাইলের ৯ নম্বর আয়াতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন:
إِنَّ هذَا الْقُرْآنَ يَهْدي لِلَّتي‏ هِيَ أَقْوَمُ وَ يُبَشِّرُ الْمُؤْمِنينَ الَّذينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْراً کَبيراً
নিশ্চয় এই কুরআন সেই পথনির্দেশ করে যা সর্বাধিক স্থায়ী এবং যে বিশ্বাসীরা সৎকর্ম সম্পাদন করে তাদের সুসংবাদ প্রদান করে যে, নিশ্চয় তাদের জন্য মহাপ্রতিদান রয়েছে।
মুসলমানদের জন্য কুরআন শরিফ সম্পূর্ণ একটি ওষুধের দোকান। এই দোকানে মানসিক অসুস্থতার সকল চিকিৎসা রয়েছে।
তিনি বলেন: প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব মানসিক ও আত্মার অসুস্থতার জন্য কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া এবং কুরআনের নির্দেশ মোতাবেক জীবনকে পরিচালনা করা।
কুরআনের প্রতি ভালোবাসার ব্যাপারে আব্দুল আজিজ বলেন: কুরআনের সাথে যারা বন্ধু তাদেরকে ভালোবাসি এবং কুরআনের প্রতি যারা শত্রুতা পোষণ করে তদেরকে শত্রু মনে করি। ইরান পবিত্র কুরআনিক পূর্ণ সমর্থন করে। আর এজন্য আম ইরানকেও ভালোবাসি।
তিনি বলেন: ভবিষ্যতে আমি গাম্বিয়ায় একটি কুরআনের স্কুল নির্মাণ করব এবং সেখানে সকল শিশুদের কুরআন হেফজ ও তিলাওয়াত শিক্ষা প্রদান করব। কারণ যদি শিশুরা কুরআনের সাথে পরিচিত হয়, তাহলে তরা কখনোই বিপথগামী হবে না।
iqna



প্রকাশিত: 1
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
wpxdxlla
0
0
20
captcha