
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম মাহদীর প্রকৃত অনুসারীদেরকে অবশ্যই ইবাদত-বন্দেগীর দিক থেকে সবার আগে থাকতে হবে এবং সমাজে আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে অগ্রগামী হতে হবে।
ইমাম মাহদীর অনুসারীদের প্রধান কাজ হচ্ছে সমাজে ইসলামী সংস্কৃতির বাস্তবায়ন ঘটানো এবং তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলছেন: «وَ أَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَينِ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيهمْ وَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُون»، হে রাসূল! আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি তুমি মানুষের জন্য তার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ কর।
বলুন : আমি (আমার এই দাওয়াত) এর বিনিময়ে আমার আত্মীয়ের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু চাই না।...। (প্রসঙ্গত : ইতিহাসের আর কোনো নবী এরূপ বিনিময় দাবী করেননি। : নবুওয়তের গুরুত্ব / মর্যাদা, যার বিনিময়ে আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা চাওয়া হয়েছে মুমিনদের কাছে।)
হাদীসে কিসা: সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থে প্রচুর সংখ্যক হাদীসে এসেছে যে, এই আহলে বাইত হলেন আলী, হাসান, হুসাইন, ফাতিমা(আ.) (সর্বসম্মত মত)। ইমাম হুসাইন (আ.)-এর বংশধারায় আগত বাকী ৯ জন ইমামকে আহলে বাইতের মর্যাদার অন্তর্ভুক্ত গণ্য করে শিয়ারা।
সুন্নি সমাজের বিভিন্ন মত থাকা সত্ত্বেও প্রথম ৩ ইমাম ও শেষ ৯ জন সম্পর্কে উচ্চ প্রশংসা, সম্মান ও মর্যাদার কথা বলে থাকে। ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর ছাত্র ছিলেন আবু হানীফা ও ইমাম শাফেঈ। আবু হানীফা তাঁকে যুগের শ্রেষ্ঠতম আলেম বলেছেন, উচ্চপ্রশংসা করেছেন, এবং নিজ নামে কোনো মাজহাব প্রতিষ্ঠা করে যাননি। অতএব, হানাফি ফিকাহর অনুসারীগণ জাফরী ফিকাহর অনুসরণকে কোনোক্রমেই ভুল বা কম মর্যাদার বলতে পারবে না।
সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থে বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন ভাষায় একটি হাদীস এসেছে, যার মর্মার্থ হলো, আল্লাহ রাসূল (সা.) বলেছেন, আমার পরে ১২ জন ওয়ালী / ওয়াসী / খলিফা আসবে, তারা কুরাইশ বংশের হবে।...হাদীসে সাকালাইন: আমি তোমাদের মাঝে দুটি ভারি, মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি: আল্লাহর কিতাব কুরআন, যা আকাশ থেকে জমিন পর্যন্ত বিস্তৃত আল্লাহর রজ্জু, আর আমার আহলে বাইত। তোমরা যদি এ দুটি কে আঁকড়ে ধর তবে কখনোই বিপথগামী হবে না, এ দুটি আমার সাথে হাউজে কাউসার-এ মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না। সুত্র: shabestan