
বার্তা সংস্থা ইকনা: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: সেই আল্লাহর শপথ! যিনি আমাকে মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করেছেন। যদি মহাপ্রলয়ের এক দিনও অবশিষ্ট থাকে আল্লাহপাক সে দিনকে এত বেশী দীর্ঘায়ীত করবেন যে, আমার সন্তান মাহদী সংগ্রাম করবে। অতঃপর ঈসা ইবনে মারিয়াম আসবেন এবং ইমাম মাহদীর (আ.) পিছনে নামাজ আদায় করবেন।
সকল বিপ্লব ও সামাজিক ঘটনা তার ক্ষেত্র ও শর্তের উপর নির্ভরশীল। ইরানের ইসলামী বিপ্লবও যেমন তার ক্ষেত্র প্রস্তুত হওয়ার মাধ্যমে সফল হয়েছে। ইমাম মাহদীর (আ.) বিশ্বজনীন সংগ্রাম ও বিপ্লবও যা বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সংগ্রাম এ নিয়মের বাইরে নয় এবং ক্ষেত্র ও প্রেক্ষাপট প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হবে না।
একথা বলার কারণ হচ্ছে আমরা যেন মনে না করি যে, ইমাম মাহ্দীর (আ.)বিপ্লব পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে এবং ইমামের এ সংগ্রাম মো’জেযার মাধ্যমে সংঘটিত হবে। বরং কুরআনের বাণী ও ইমামদের আদর্শ অনুযায়ী এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, পৃথিবীর সকল কর্মকাণ্ড তার স্বাভাবিক গতিতেই সংঘটিত হবে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: আল্লাহপাক চান না যে, পৃথিবীর কর্মকাণ্ড প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে সংঘটিত হোক।
একজন ইমাম বাকের (আ.)-কে বলল: আমরা শুনেছি যে, ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাব ঘটলে সব কিছু তার ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে।
ইমাম বললেন: না, এমনটি নয়। আল্লাহর শপথ করে বলছি যদি এমনটিই হত যে, কারো জন্য সব কিছু নিজে নিজেই হয়ে যাবে তাহলে রাসূল (সা.)-এর বেলায়ও তাই ঘটত।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদী (আ.)-এর সংগ্রামের পাঁচটি নিদর্শন রয়েছে, তা হচ্ছে: সুফিয়ানির আবির্ভাব, ইয়ামানির আবির্ভাব, আসমানি গায়েবী আওয়াজ, নাফসে জাঁকিয়ার হত্যা এবং খুসুফে বাইদা। সূত্র: শাবিস্তান