মহানবী (সা.) প্রিয় এই নাতিকে কোলে নিয়ে আদর করা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে খেলতেন। একবার তিনি এই নাতির জন্য আল্লাহর দরবারে হাত উঠিয়ে মুনাজাত করে বলছিলেন: হে আল্লাহ! আমি হাসানকে ভালবাসি, তাই আপনিও তাদের ভালবাসুন যারা হাসানকে ভালবাসে। মহানবী আরো বলেছেন, যারাই হাসান ও হুসাইনকে ভালবাসে আমিও তাদের ভালবাসি, আর আমি যাদের ভালবাসি আল্লাহও তাদের ভালবাসেন, আর আল্লাহ যাদের ভালবাসেন তাদের বেহেশত দান করবেন এবং যারা হাসান ও হুসাইনের সঙ্গে শত্রুতা রাখে তাদেরকে আমিও আমার শত্রু মনে করি, ফলে আল্লাহও তাদের শত্রু হন, আর আল্লাহ তার শত্রুকে জাহান্নামে পাঠাবেন।
তিনি আরো বলেছেন: হাসান ও হুসাইন বেহেশতি যুবকদের সর্দার। এরা দু' জন আমারই সন্তান। আলী (আ.)ও নবী-কন্যা ছাড়া তাঁর অন্য স্ত্রীর সন্তানদের বলতেন, তোমরা আমার নিজের সন্তান আর হাসান ও হুসাইনকে বলতেন আল্লাহর নবীর (সা.) সন্তান।
আর এইসব বর্ণনা থেকেই বোঝা যায় হাসান ও হুসাইন (আ.)-উভয়ই বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অন্যতম অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁরা উভয়ই ইসলামের সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।
মহানবী (সা.) আরো বলেছেন: হাসান ও হুসাইন-দু'জনই মুসলমানদের ইমাম বা নেতা, তা তাঁরা (তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে) বিপ্লব করুক বা নাই করুক (কিংবা ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক)। এ থেকেই বোঝা যায়, বিশ্বনবী ইমাম হাসান মুজতবার (আ.) কৌশলগত যুদ্ধ-বিরতি ও ইমাম হুসাইন (আ.)'র কারবালা বিপ্লব সম্পর্কে আগেই অবহিত ছিলেন এবং তাঁদের সেইসব পদক্ষেপকে সঠিক পদক্ষেপ বলে রায় দিয়ে গেছেন।