
বার্তা সংস্থা ইকনা: পুলিশ বলছে, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, স্বরূপনগর আর বসিরহাট এলাকাগুলিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বহু মানুষ রাস্তা আর রেল অবরোধ করে থাকেন অনেক রাত পর্যন্ত।
বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতারা অবরোধকারীদের বোঝাতে থাকেন যে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কাজেই তারা যেন অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু নেতাদের কথা শোনেন নি ওই অবরোধকারীরা।
গত তিন দিনেও শান্তি ফিরেনি ওই এলাকায়। দু’পক্ষের বোমা-গুলির লড়াই, দোকান-বাজারে অগ্নিসংযোগ, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের মতো ঘটনা থামেনি।
তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও বুধবার বিকেলের পর থেকে বসিরহাট মহকুমার নানা প্রান্তে শান্তি ফেরাতে আলোচনায় বসল বিবদমান পক্ষগুলি। হাড়োয়ায় শান্তি মিছিল বেরোয়। প্রশাসনের উদ্যোগেও শান্তি বৈঠক হয়েছে স্বরূপনগরে।
সেখানে ছিলেন স্থানীয় সংসদ, বিধায়কেরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে নতুন করে আরো চার কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। দিনের শেষে বসিরহাটের এসডিপিও নীতেশ ঢালি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।’
তবে সকালের দিকে বসিরহাট স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা, ভ্যাবলা, পাইকপাড়া, রামনগর, হরিশপুর, ট্যাঁটরাবাজারে একাধিক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বাজার-দোকান ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মার খেয়েছে পুলিশ, র্যা ফ।
তবে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ২২ জন। জখম হয়েছেন র্যানফ ও পুলিশের তিন জন। পাইকপাড়ায় পুলিশ-র্যা ফের গাড়ি ঘিরে ফেলে জনতা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চলে। চোট পান এসডিপিও। পরে আরো বড় বাহিনী আসে। তাদের লক্ষ্য করে বোমা-গুলি উড়ে আসতে থাকে। পুলিশের টিয়ার গ্যাসের সেল লেগে রক্তাক্ত হন এক ব্যক্তি। এর পরেই পিছু হটে জনতা।
এ দিকে, রাজ্যের কাছে বসিরহাট নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যপালের রিপোর্ট এখনো যায়নি। কংগ্রেস সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথা হয়েছে দিল্লিতে। অধীর দাবি করেছেন, রাজনাথ তাকে বলেছেন, রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে না।
বাহিনী ০৬ জুলাই,২০১৭ 0 আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন কলকাতা: কাবাঘর নিয়ে একটি ফটোশপ করা অশ্লীল ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে এক কিশোর। ওই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট অঞ্চলে। তিনদিন ধরে ওই এলাকায় যুদ্ধাবস্থা চলছে। পুলিশ বলছে, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা, স্বরূপনগর আর বসিরহাট এলাকাগুলিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বহু মানুষ রাস্তা আর রেল অবরোধ করে থাকেন অনেক রাত পর্যন্ত। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের নেতারা অবরোধকারীদের বোঝাতে থাকেন যে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কাজেই তারা যেন অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু নেতাদের কথা শোনেন নি ওই অবরোধকারীরা। গত তিন দিনেও শান্তি ফিরেনি ওই এলাকায়। দু’পক্ষের বোমা-গুলির লড়াই, দোকান-বাজারে অগ্নিসংযোগ, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের মতো ঘটনা থামেনি। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হলেও বুধবার বিকেলের পর থেকে বসিরহাট মহকুমার নানা প্রান্তে শান্তি ফেরাতে আলোচনায় বসল বিবদমান পক্ষগুলি। হাড়োয়ায় শান্তি মিছিল বেরোয়। প্রশাসনের উদ্যোগেও শান্তি বৈঠক হয়েছে স্বরূপনগরে। সেখানে ছিলেন স্থানীয় সংসদ, বিধায়কেরা। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে নতুন করে আরো চার কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। দিনের শেষে বসিরহাটের এসডিপিও নীতেশ ঢালি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।’ তবে সকালের দিকে বসিরহাট স্টেশন-সংলগ্ন এলাকা, ভ্যাবলা, পাইকপাড়া, রামনগর, হরিশপুর, ট্যাঁটরাবাজারে একাধিক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বাজার-দোকান ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মার খেয়েছে পুলিশ, র্যা ফ। তবে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ২২ জন। জখম হয়েছেন র্যানফ ও পুলিশের তিন জন। পাইকপাড়ায় পুলিশ-র্যা ফের গাড়ি ঘিরে ফেলে জনতা। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চলে। চোট পান এসডিপিও। পরে আরো বড় বাহিনী আসে। তাদের লক্ষ্য করে বোমা-গুলি উড়ে আসতে থাকে। পুলিশের টিয়ার গ্যাসের সেল লেগে রক্তাক্ত হন এক ব্যক্তি। এর পরেই পিছু হটে জনতা। এ দিকে, রাজ্যের কাছে বসিরহাট নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যপালের রিপোর্ট এখনো যায়নি। কংগ্রেস সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথা হয়েছে দিল্লিতে। অধীর দাবি করেছেন, রাজনাথ তাকে বলেছেন, রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে না। আরটিএনএন