
শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) গাদীরে খুমে ইমাম আলীর ইমামত ছাড়াও সকল ইমামের ইমামত সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ইমাম মাহদী সম্পর্কে বলেছেন: «إِنَّ خاتَمَ الْأَئِمَةِ مِنَّا الْقائِمَ الْمَهْدِی» আমার উম্মতের শেষ ইমাম মাহদীও আমার বংশ থেকে। এভাবে তিনি গাদীরে খুমে শুধুমাত্র হযরত আলীর হাতেই নয় বরং সকল ইমামের হাতে আমাদেরকে বাইয়াত করিয়ে গেছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) গাদীরে খুমের ময়দানে ১২৪ হাজার হাজিদের সমাবেশে ইমাম আলীসহ ১২ জন ইমামের পরিচয় করিয়ে দিয়ে গেছেন।
আমিরুল মু’মিনি হযরত আলী(আ.) সূরা হুদের ৮ নং আয়াতের তাফসীরে বলেছেন: «وَلَئِنْ أَخَّرْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ إِلَى أُمَّةٍ مَعْدُودَةٍ لَيَقُولُنَّ مَا يَحْبِسُهُ أَلَا يَوْمَ يَأْتِيهِمْ لَيْسَ مَصْرُوفًا عَنْهُمْ وَحَاقَ بِهِمْ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ»
এবং আমরা যদি তাদের থেকে শাস্তি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত(ছোট জাতি) পিছিয়ে দেই, তবে তারা অবশ্যই (বিদ্রূপ করে) বলবে, ‘কিসে তা (শাস্তির পথ) অবরোধ করে রেখেছে?’ জেনে রাখ, যেদিন তাদের নিকট তা (শাস্তি) আসবে সেদিন তাদের থেকে নিবৃত্ত করা হবে না এবং যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা তাদের (চারদিক থেকে) পরিবেষ্টন করবে।
এখানে إِلَى أُمَّةٍ مَعْدُودَةٍ নির্দিষ্ট কাল বা ছোট জাতি বলতে ইমাম মাহদীর ৩১৩ জন সৈন্যকে বোঝানো হয়েছে।
অনুরূপভাবে হযরত আলী(আ.) সূরা দুখান(ধোয়া) সম্পর্কে বলেছেন, ইমাম মাহদীর আগমনের পূর্বে বিশ্ব ধোয়ায় ভরে যাবে। সূরা দুখানেও সেই বিষয়টির প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ইমাম মাহদী(আ.) সকল ইমামগণের ন্যায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিবেন। আর এই পথে তাকে সাহায্য করবেন ১০ হাজার সৈন্য তার মধ্যে থাকবে ৩১৩ জন বিশেষ সৈন্য যার মধ্যে ৪০ জন হবে ইরান থেকে।