
বার্তা সংস্থা ইকনা: যদি জনপদ বা শহরগুলোর অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং আল্লাহ্কে ভয় করতো, আমি অবশ্যই তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর [সকল] কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা [ আমার নিদর্শন বা সত্যকে] প্রত্যাখ্যান করেছিলো। সুতরাং তাদের কু-কর্মের জন্য আমি তাদের [শাস্তির] অন্তর্ভুক্ত করেছি।
আল্লাহ বলছেন, ব্যাপারটা এমন নয় যে আল্লাহ মানুষকে দুঃখ-বিপদের শিকার করতে ভালবাসেন। বরং মানুষ যদি খোদাভীরু ও ঈমানদার হত এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করত তাহলে আমি তাদের জন্য আসমানী ও পার্থিব বা স্থায়ী ও পবিত্র নিয়ামতগুলোর দরজা খুলে দিতাম। কিন্তু অনেক মানুষ আল্লাহর অজস্র ও অসংখ্য নিয়ামত ভোগ করা সত্ত্বেও আল্লাহকেই অস্বীকার করে এবং এভাবে খোদায়ী শাস্তি ডেকে আনে।
পবিত্র কুরআনের সূরা আন'আমের ৪৪ নম্বর আয়াতে ক্ষণস্থায়ী ও বরকতহীন কিছু নেয়ামতের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে: এরপর তারা যখন ঐ উপদেশ ভুলে গেল, যা তাদেরকে দেয়া হয়েছিল, তখন আমি তাদের সামনে সব কিছুর দরজা খুলে দিলাম। এমনকি, যখন তাদেরকে প্রদত্ত বিষয়াদির জন্যে তারা খুব গর্বিত হয়ে পড়ল, তখন আমি হঠাত তাদেরকে পাকড়াও করলাম। তখন তারা নিরাশ হয়ে গেল।
এক. উপভোগের সব কিছুই সমান নয়। মুমিনদের যেসব নিয়ামত দেয়া হয় সেগুলো স্থায়ী ও বরকতে পরিপূর্ণ এবং অশেষ বরকতের আধার। এইসব নিয়ামত আল্লাহর দয়ার নিদর্শন। অন্যদিকে কাফিরদের যেসব ভোগের সামগ্রী দেয়া হয় সেগুলো ক্ষণস্থায়ী, অশুভ ও খোদায়ী ক্রোধের নিদর্শন।
সমাজে বরকত নাজিল হওয়ার জন্য কেবল ব্যক্তিগত ঈমান ও খোদাভীরুতাই যথেষ্ট নয়। এ জন্য সমাজের বেশিরভাগ মানুষকেই খোদাভীরু হতে হবে।
সূরা আম্বিয়ার ১০৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-
وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ
নিঃসন্দেহে আমরা স্মারকবাণী তথা তাওরাতের পর যাবুরেও লিপিবদ্ধ করে দিয়েছিলাম যে, পৃথিবীর শাসন-ক্ষমতার অধিকারী হবে আমার সৎ বান্দারা।
যাবুরে এ সুসংবাদ লিখিত আছে যে, যারা আল্লাহর ইবাদাত করে এবং সৎকর্মপরায়ণ, তারা জানুক যে, সৎকর্মের প্রতিদান শুধু পরকালের জন্যই নির্দিষ্ট নয়; বরং দুনিয়াতেও আল্লাহ এরূপ বান্দাদের রাজত্ব ও শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন যেমনটি তিনি সূরা নূরের ৫৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেছেন। তবে সমগ্র বিশ্বের ওপর পরিপূর্ণ ন্যায়বিচারভিত্তিক এবং জুলুমমুক্ত রাজত্ব ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সর্বশেষ স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি দ্বাদশ ইমাম তথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। শাবিস্তান