বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইসলামি দিনপঞ্জি অনুযায়ী পবিত্র জিলহজ্ব মাসের ১৮ তারিখ হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ একটি দিন। যেদিনটি ঐতিহাসিক ঈদে গাদীর হিসেবে খ্যাত। এদিন রাসূল (সা.) আল্লাহর নির্দেশে বিদায় হজ্ব শেষে গাদীরে খুম নামায স্থানে সমস্ত সাহাবীদের একত্রিত করে তার পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত ও খলিফা হিসেবে আমিরুল মু’মিনিন আলী ইবনে আবি তালিবকে (আ.) পরিচয় করিয়ে দেন। আর রাসূলের (সা.) এ ঘোষণার পর পরই আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে তার মনোনীত ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দেন এবং ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণতা সম্বলিত আয়াত নাজিল করেন।
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَ أَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَ رَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلامَ دِيناً
অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণ এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামতের পূর্ণতা দান করছি। আর ইসলামকে আমার মনোনীত ধর্ম হিসেবে নির্বাচন করছি। সূরা মায়েদা: ৩ নং আয়াত।
এ কারণে রাসূলের (আ.) আহলে বাইতের মাসুম ইমামগণ (আ.) সব সময় এ ঐতিহাসিক দিনের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে এসেছেন। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ যুগের পরিবেশ ও পরিস্থিতির প্রতি বিশেষ নজর রেখে গাদীরের ঘটনাকে মানুষের মাঝে জাগ্রত রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছেন।