
বার্তা সংস্থা ইকনা: অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের জন্য ‘ডিফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল’ বা ডিএসিএ প্রকল্প বাতিলের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ হয়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকার পাঁচ বছর আগে ডিএসিএ প্রকল্প অনুমোদন করেছিলেন।
এর আওতায় আট লাখ তরুণকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। সাধারণ ভাবে এরা ‘ড্রিমারস’ নামে পরিচিত। এ প্রকল্পের আওতায় ‘ড্রিমারস’দের থাকার সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি কাজ ও শিক্ষার সুযোগও দেয়া হয়। তরুণ এবং অনিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে যারা শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন, তাদেরকেই ‘ড্রিমারস’ বলা হয়। অন্য অনিবন্ধিত অভিবাসীদের চেয়ে এদেরকে দেখা হয় বিশেষ দৃষ্টিতে।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস গতকাল ডিসিসিএ বাতিলের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার বিরুদ্ধে, লস অ্যাঞ্জলস, শিকাগো, ডেনভার, ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি এবং নিউইয়র্কসহ অন্যান্য নগরীতে বিক্ষোভ হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জলসে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক নারী বলেন, সহিংসতার হাত থেকে রক্ষা পেতে তার পরিবার গুয়েতমালা থেকে পালিয়ে এসেছিল। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর। এমন অনেক অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছি তা ৭ বছরে শিশু কখনো কল্পনাও করতে পারে না। কিন্তু এখন আমি কোথায় যাবো বলে প্রশ্ন করেন তিনি।
ম্যানহাটানে ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভের সময় ৩৪ ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে নিউ ইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র জানান। আরটিএনএন