
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সূরা আম্বিয়ার ১০৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ
নিঃসন্দেহে আমরা স্মারকবাণী তথা তাওরাতের পর যাবুরেও লিপিবদ্ধ করে দিয়েছিলাম যে, পৃথিবীর শাসন-ক্ষমতার অধিকারী হবে আমার সৎ বান্দারা।
যাবুরে এ সুসংবাদ লিখিত আছে যে, যারা আল্লাহর ইবাদত করে এবং সৎকর্মপরায়ণ, তারা জানুক যে, সৎকর্মের প্রতিদান শুধু পরকালের জন্যই নির্দিষ্ট নয়; বরং দুনিয়াতেও আল্লাহ এরূপ বান্দাদের রাজত্ব ও শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন যেমনটি তিনি সূরা নূরের ৫৫ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেছেন।
তবে সমগ্র বিশ্বের ওপর পরিপূর্ণ ন্যায়বিচারভিত্তিক এবং জুলুমমুক্ত রাজত্ব ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সর্বশেষ স্থলাভিষিক্ত প্রতিনিধি দ্বাদশ ইমাম তথা ইমাম মাহদী (আ.)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
পূর্ববর্তী ধর্মীয় গ্রন্থ বা আসমানি কিতাবগুলো এবং পবিত্র কুরআন পৃথিবীর আগামী দিনগুলোর অবস্থা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছে, সৎ ও মুমিন বান্দারাই হবে রাষ্ট্রীয় শাসন-ক্ষমতার অধিকারী।
বিশ্বে শাসন-ক্ষমতার অধিকারী হওয়া ও বিশ্বে ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি শর্ত জরুরি: আল্লাহ ও তার বিধি-বিধানের কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও বাস্তব ময়দানের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
সূরা মায়েদার ৫৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
হে মুমিনরা, তোমাদের মধ্যে যে নিজ ধর্ম থেকে ফিরে যাবে,(সে আল্লাহর কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না) অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: এই আয়াতটি ইমাম মাহদী ও তার সাথীদের শানে অবতীর্ণ হয়েছে। শাবিস্তান