বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইসলাম ধর্মের নবী তথা হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবনাদর্শ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) যখন কোন বৈঠকে বসতেন, কোন কাজে নিয়োজিত থাকতেন, কোন আলোচনায় মশগুল থাকতেন কিংবা সাহাবিদের সাথে জ্ঞান সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরে ব্যস্ত থাকতেন, তখন যদি আযান দিত এবং নামাযের সময় হত; সাথে সাথে তিনি সব কিছু ত্যাগ করে দ্রুত ওযু করে নামাযের জন্য প্রস্তুত হতেন।
রাসূলের (সা.) এমন আচরণের মাধ্যমে দৈনন্দিন যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের তুলনায় নামাযের গুরুত্ব ও ফজিলতের প্রতি ইশারা করা হয়েছে।
নামায শুধুমাত্র হযরত মুহাম্মাদের (সা.) উম্মতের উপর ফরজ তাই নয়; বরং ইসলামের পূর্বে অন্যান্য আসমানি ধর্মের মধ্যেও ইবাদত-বন্দেগীর নানাবিধ পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নামায।
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে নামায আদায় ও জাকাত প্রদানের আদেশ করেছেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি আল্লাহ বান্দার নামাযকে কবুল করেন, তাহলে তার অন্যান্য আমলও আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়।