বার্তা সংস্থা ইকনা: সোমবার সালমা আনসারি অভিযোগ করেন, রাতে এক আবাসিক ছাত্র বোতলে পানি আনতে গেলে দুই ব্যক্তিকে পানি শীতলীকরণ যন্ত্রে কিছু একটা মেশাতে দেখে। এ সময় ছাত্রটিকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাটিকে বোর্ডিংয়ের তত্ত্বাবধায়ককে (ওয়ার্ডেন) জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
সালমা বলেন, পানি শীতলীকরণ যন্ত্রের পাশে ইঁদুর মারা বিষের বড়ি পাওয়া গেছে। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার আগে ওই ছাত্রকে ভয় দেখিয়ে বলেছে কাউকে ঘটনার কথা বললে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
বিষ মেশানোর ঘটনায় অজ্ঞাত দুই দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮ ধারা (বিষ দিয়ে কারও ক্ষতি করা) এবং ৫০৬ ধারায় (দণ্ডনীয় ভীতি প্রদর্শন) এজাহার দায়ের করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে আলীগড়ের পুলিশ সুপার রাজেশ পান্ডে বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত একজন শিক্ষার্থী দুষ্কৃতকারীকে দেখে মাদ্রাসার ওয়ার্ডেনকে জানানোয় এতোগুলো জীবন রক্ষা পেয়েছে। আমরা ট্যাঙ্কের পানির নমুনা সংগ্রহ করেছি, আগামী শনিবার পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।’
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে মাদ্রাসার ওয়ার্ডেন জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, ‘মোহাম্মদ আফজাল নামের এক শিক্ষার্থী সন্ধ্যার পর পানি আনতে গিয়েছিলেন, তখন সে দুইজন অজ্ঞাত যুবকের একজনকে পানি শীতলীকরণ যন্ত্রে কিছু একটা মেশাতে দেখে। সঙ্গে থাকা আরেকজন পাশে একটি দেশীয় পিস্তল নিয়ে বসে ছিল এবং তাকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সে আমাকে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানালে আমরা বিষয়ঠি পুলিশকে জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করেন হামিদ আনসারি। এর আগের দিন রাজ্যসভা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মুসলমানরা ভারতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সব ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি সহিষ্ণুতারও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
গরুসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা এবং ঘরে ফেরা (ঘর ওয়াপসি) কর্মসূচির কারণে অসহনশীলতা বেড়ে যাওয়ায় মুসলমানরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করেন আনসারি। আনসারির ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে ভারতজুড়ে বেশ আলোচনার জন্ম হয়। এমটিনিউজ