
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে হুসাইনের (আ.) শাহাদতের ব্যাপারে এমন ভালবাসা আছে যে, তার উত্তাপ কখনও প্রশমিত হবে না। যারা হুসাইনের জন্য কাঁদবে তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদও দিয়ে গেছেন বিশ্বনবী (সা.)।
ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন: যখন কুরাইশরা পূজা করত দুই মূর্তি লাত ও উজ্জার তখন আমার বাবা নামাজ পড়েছেন দুই কিবলার দিকে ফিরে। আমার বাবার হলেন সূর্য, মা হলেন চাঁদ, আর আমি এক নক্ষত্র, দুই চাঁদের সন্তান।... আমার নানা আল্লাহর রাসূল –সবার চেয়ে সম্মানিত।.. আমরা সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহর বাতি। ..আমরা কাউসারের ওপর কর্তৃত্ব রাখি।..দুর্ভোগ তোমাদের ওপর হে আবু সুফিয়ানের পরিবারের অনুসারীরা, যদি তোমরা অধার্মিকও হয়ে থাক ও কিয়ামতকে ভয় না পাও, অন্ততঃ স্বাধীন চিন্তার অনুসারী হও।
তিনি আরো বলেছেন: জনসাধারণ দুনিয়ার গোলাম। তারা ধর্মকে জিহ্বার মধ্যেই সীমিত রাখে। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা জানে যে এ ধরনের ধর্ম চর্চা তাদের জীবনে কোনো ক্ষতি বয়ে আনবে না ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ধর্মের চারপাশে ঘুরাফেরা করবে। কিন্তু যখন তারা কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হয় তখন খুব কম সংখ্যকই ধর্মের পথে অবিচল থাকে।
ইমাম বাক্বির (আ.) বলেছেন: রাসূলে খোদার (সা.) কবর জিয়ারত এবং ইমাম হুসাইন (আ.) ও শহীদদের কবর জিয়ারত মক্ববুল বা কবুল হয়েছে এমন হজের ও রাসূল (সা.)'র সঙ্গে হজ করার সমতুল্য।(মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল। প্রথম খণ্ড, পৃ-২৬৬ এবং কামেল আজ জিয়ারত, পৃ-১৫৬)
ইমাম বাক্বির ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.)'র বর্ণনা অনুযায়ী কেউ বেহশতবাসী হতে চাইলে মজলুমের (ইমাম হুসাইন-আ.) জিয়ারত যেন ত্যাগ না করেন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য হযরত ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.): প্রতিটি ময়দানই কারবালা ও প্রত্যেক দিনই আশুরা।
নবীগণ ও ফেরেশতারা সব সময়ই ইমাম হুসাইন (আ.)'র মাজার জিয়ারতের জন্য মহান আল্লাহর অনুমতি নেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। তাঁদের একদলের জিয়ারত শেষ হলে আরেক দল জিয়ারত করতে আসেন। শাবিস্তান