বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসরাইল সফর শেষ করার আগে পেন্সে জেরুজালেম সফরের দিন মঙ্গলবার পশ্চিম তীর জুড়ে এ ধর্মঘট পালন করেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর আহ্বানে ধর্মঘট চলাকালে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিস্তিনে তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই রবিবার ইসরায়েল সফর শুরু করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। সেখানে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা ছাড়াও দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন তিনি। সেখানে ২০১৯ সালের মধ্যেই জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ইসরাইল সফর শেষ করার আগে মঙ্গলবার জেরুজালেম সফরে যান তিনি। সেখানে পুরাতন নগরীর ওয়েস্টার্ন ওয়াল বা আল বোরাক ওয়াল পরিদর্শনে যান তিনি।
আল বোরাক ওয়াল পূর্ব জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদের পাশেই অবস্থিত। একেশ্বরবাদী তিন ধর্মের অনুসারী মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে এটা পবিত্র স্থান। আর পূর্ব জেরুজালেমকেই নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। পেন্সের জেরুজালেম সফরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিম তীর জুড়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ বিবৃতিতে তারা, ফিলিস্তিনি জনগণকে ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
আহ্বানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ফিলিস্তিনিরা। এদিন স্বাভাবিক ব্যস্ত সড়কগুলোও খালি ছিল। মাইক পেন্সের ওয়েস্টার্ন ওয়াল পরিদর্শনের সময় জেরুজালেমের চারপাশে বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়। সে সময় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে। আর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী ও শিল্পী মালিহা মাসলিমানি মিডলইস্ট আইকে বলেন, ‘সর্বাত্মক ধর্মঘট প্রতিবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। পেন্সের ফিলিস্তিন সফরের প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) আমরা ধর্মঘটে অংশ নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাকে (পেন্স) বলতে চাই, ইসরায়েলি সরকার হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্যাতন ও হত্যা করছে। তাই এখানে তাকে স্বাগত জানানো হবে না।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা ভুয়া, তাতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
জেরুজালেমের পুরাতন নগরীর সিলওয়ানের আন্দোলনকারী সাহার আব্বাসী বলেন, ‘পেন্সের বক্তব্য শুনে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। তিনি জনগণ হিসেবে আমাদের অস্তিত্বকেই পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন।’
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পেন্সের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আব্বাসী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে হাল না ছাড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মার্কিন সরকারকে বর্জন অব্যাহত রাখবে, তাদের সঙ্গে দেখা করবে না। ফিলিস্তিনি জনগণ এটাই চায়। আশা করি তারা সেটাকে সম্মান জানাবে।’
ওল্ড সিটির একটি স্মারক দোকানের কর্মচারী আবু আহমেদ বলেন, ‘ধর্মঘটের মাধ্যমে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণকে জেরুজালেম ইস্যুতে আমাদের আন্দোলনের ব্যাপারে নূন্যতম বার্তা দিতে পেরেছি। মিডলইস্ট আই