শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র ইমামগণ এবং মহান আলেমদের থেকে ইমাম মাহদীর স্মরণ এবং কিভাবে স্মরণ করতে হবে সে সম্পর্কে অনেক উপায় ও দোয়া বর্ণনা করেছেন।
একজন বড় আলেম তার মুকাশাফাতে ইমাম হুসাইনকে(আ.) দেখতে পান এবং ইমাম তাকে উপদেশ দিয়ে বলেন: আমাদের মাহদী তাঁর নিজের যুগে অত্যাচারিত হয়েছে। তার সম্পর্কে যত পার বল এবং লেখ কেননা তিনি হচ্ছেন তোমাদের যুগের ইমাম তোমাদের পারের কাণ্ডারি।
তিনি বলেছেন: আবারও বলছি ইমাম মাহদী সম্পর্কে যত পার আলোচনা কর, লেখালেখি কর। তার কারণেই তোমরা বেচে আছ অথচ তার স্মরণ না করে তাকে তোমরা তার উপর জুলুম করছ।
শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে আপামর মুসলিম উম্মাহ ঐক্যমত্য পোষণ করে যে ,মহানবী (সা.) এর বংশধারার সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন ইমাম মুহাম্মদ আল মাহদী (আ.) ,যিনি শেষ জামানায় আবির্ভূত হয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামী হুকুমত এবং ন্যায়বিচার কায়েম করবেন এবং পৃথিবীর বুক থেকে অন্যায়-অত্যাচার ও শোষণের পরিসমাপ্তি ঘটাবেন । তার আগমন অবশ্যম্ভাবী এবং এতে কোন সন্দেহ নেই । তার আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না । প্রামাণ্য ও নির্ভরযোগ্য শিয়া-সুন্নি হাদিস গ্রন্থসমূহে মহানবী (সা.) থেকে এতদপ্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে : لو لم يبق من الدنیا إلا یوم لبعث الله رجلا مناّ یملأها عدلا کما ملئت جورا
দুনিয়া ধ্বংস হতে মাত্র একদিনও যদি অবশিষ্ট থাকে তাহলে মহান আল্লাহ (ঐ একদিনের মধ্যেই) আমাদের (আহলে বাইতের) মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রেরণ করবেন যে এ পৃথিবী যেভাবে অন্যায়-অবিচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে ঠিক সেভাবে ন্যায় ও সুবিচার দিয়ে তা পূর্ণ করে দেবে । (মুসনাদ-ই আহমদ ইবনে হাম্বল ,১ম খণ্ড ,পৃ.৯৯ ,বৈরুত ,দারুল ফিকর কর্তৃক প্রকাশিত)