বার্তা সংস্থা ইকনা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার এই সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন। এ সম্মেলনে ঢাকা শহরকে ইসলামিক ট্যুরিজম সিটি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। হালাল ট্যুরিজম ক্ষুদ্র একটি পার্ট।’ খবর বিবিসির
তিনি জানান, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সবকিছু হালাল, সে বিষয়টি জোরালো-ভাবে তুলে ধরা হবে।
আরব দেশগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে যাতে হালাল পর্যটনকে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়টি আলোচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মো: নাসির উদ্দিন বলেন, হালাল ট্যুরিজমের প্রধান বিষয়টি হচ্ছে খাবার।
কিন্তু পর্যটনের ক্ষেত্রে খাবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
তিনি বলেন, ‘সবকিছু মিলেই ট্যুরিজম। এর মধ্যে খাবার, স্থান এবং মানুষ সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত।’
বাংলাদেশে যেসব পর্যটক আসে তাদের বেশিরভাগই ইউরোপ থেকে।
ইসলামিক ট্যুরিজম কিংবা হালাল ট্যুরিজমের মাধ্যমে ইউরোপের পর্যটকদের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে কিনা সে প্রশ্ন উঠছে।
ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু এটি ওআইসি দেশগুলোর সম্মেলন সেজন্য হালাল ট্যুরিজমের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
২০১৯ সালের জন্য ঢাকা শহরকে ‘ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া পর্যটন খাতের জন্য একটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশর ৮৮টি স্থানে ইসলামিক ঐতিহ্য এবং স্থাপনা সংরক্ষণের জন্য ১৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে।
বাংলাদেশ আশা করছে ওআইসির কাছ থেকে এ বিষয়ে অর্থ সহায়তা পাবে।