IQNA

ফাতেমা যাহরার (আ.) স্মরণ আমাদের অন্তরে প্রশান্তি আনে

19:11 - March 09, 2018
সংবাদ: 2605225
খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) রাসূলুল্লাহর (সা.) অত্যন্ত আদর ও স্নেহের কন্যা। তিনি এতই স্বীয় কন্যাকে স্নেহ ও আদর করতেন যে, প্রায়ই বলতেন যে, ফাতেমা আমার কলিজার টুকরা; যে ফাতেমাকে কষ্ট দেয়, সে আমাকে কষ্ট দেয় আর যে ফাতেমাকে সন্তুষ্ট করে সে আমাকেও সন্তুষ্ট করে।



বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: নবী নন্দিনী ফাতেমা যাহরা (আ.) রাসূলুল্লাহর মধ্যে যে নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক ছিল, তা মানবেতিহাসে নজিরবিহীন ও বিরল। একজন পিতা হয়ে তিনি স্বীয় কন্যাকে শুধু আদর ও স্নেহ করতেন না; বরং তিনি ফাতেমার প্রতি যে শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেছেন, তা পৃথিবীর ইতিহাসে কোন পিতা তার কন্যার প্রতি করে নি। আর এ বিষয়টি তখনই বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কারণ হয় যখন তিনি শুধু একজন পিতাই নন বরং তিনি এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূলদের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদার অধিকারী।

রাসূল (সা:) প্রায়ই বলতেন :

“ফাতেমা আমার অস্তিত্বের অংশবিশেষ। যে তাকে রাগান্বিত করে সে আমাকেও রাগান্বিত করে।” তিনি আরও বলেন,

“নিশ্চয়ই ফাতেমা আমার অস্তিত্বের অংশবিশেষ। যা কিছু তাকে অসন্তুষ্ট করে তা আমাকেও অসন্তুষ্ট করে এবং যা কিছু তাকে কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়।”

নিঃসন্দেহে পিতা ও সন্তানের মধ্যকার পরস্পারিক ভক্তি ও ভালবাসা কখনও এরূপ অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে পারে না। কেননা, মহানবী (সা:) “রাসূলুল্লাহ” হিসেবে আল্লাহ ইচ্ছা ব্যতীত অন্য কোন ইচ্ছা করতে পারেন না। আর ফাতেমা যাহরা (আঃ)-এর ইচ্ছার সাথে আল্লাহ ও তার রাসূল (সা:)-এর ইচ্ছার সম্পৃক্ততা, এটারই প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর (ফাতেমার) আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছা কেবল মহান আল্লাহর শাশ্বত ইচ্ছাতে পরিসমাপ্ত ঘটে।

এ কারণে নবী নন্দিনী ফাতেমা যাহরা (আ.) স্মরণ আমাদের অন্তরকে প্রশান্ত করে।

captcha