বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র কুরআনের বাণী অনুযায়ী ইমাম মাহদীর আবির্ভাব এবং তার ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্র কায়েম হওয়ার পর পৃথিবীতে আর কোন শিরকের অস্তিত্ব থাকবে না।
সূরা তাওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ
আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হতেই আল্লাহর কাছে ও আল্লাহর বিধানে মাসের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে চারটি মাসে যুদ্ধ নিষিদ্ধ। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান, সুতরাং এই মাসগুলোতে তোমরা যুদ্ধ করে নিজেদের প্রতি জুলুম করো না। আর তোমরা মুশরিকদের সাথে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করবে, যেমন তারা তোমাদের সাথে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে থাকে এবং জেনে রাখ আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।
ইমাম বাকির(আ.)-এর কাছে এই আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমাম বলেন: এই আয়াতের বাস্তবায়ন ইমাম মাহদীর মাধ্যমে ঘটবে যারা তার যুগকে অনুধাবন করতে পারবে তারা খুবই সৌভাগ্যবান। কেননা তিনি আল্লাহর নির্দেশে সকল মুশরিকদেরকে নিধন করবেন এবং বিশ্বের প্রতিটি আনাচে কানাচে ইসলামের আদর্শ ও বিধান পৌঁছে যাবে। তখন কাফের ও মুশরিকদের আর কোন চিহ্নই থাকবে না।
ইমাম মাহদীর মাধ্যমেই পৃথিবী সবুজ শ্যামল হবে এবং ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, তার মাধ্যমেই সকল ফেতনা ও লুটপাটের সমাধান হবে এবং বিশ্ব বরকতময় হবে।