বার্তা সংস্থা ইকনা: সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে ইহুদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ হুমকি দেন বলে ইসরাইলের চ্যানেল টেন জানিয়েছে। গত ২৭ মার্চ ইহুদি নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানায় আল জাজিরা।
সৌদি যুবরাজ ওই বৈঠকে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি নেতারা গত ৪০ বছরে বারবার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এবং যত প্রস্তাবই দেয়া হয়েছে তার সবগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন ফিলিস্তিনিদেরকে সেসব প্রস্তাব মেনে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে অথবা তাদেরকে চুপ করে থাকতে হবে এবং কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।’
মোহাম্মাদ বিন সালমান আরো বলেন, এই মুহূর্তে রিয়াদের অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যু নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে- যেমন ধরুন ইরান।’
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক এতদিন গোপন থাকলেও তরুণ যুবরাজ বিন সালমান তা কলঙ্কজনক মাত্রায় প্রকাশ করে দিচ্ছেন। তিনি এবার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যে হুমকি দিয়েছেন সেরকম হুমকি এতদিন আমেরিকা বা ইসরাইল পর্যন্ত দিতে সাহস করেনি।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ প্রথমবারের মতো তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।
বিন সালমান বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রিয়াদের মতবিরোধ ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে একমাত্র বাধা হয়ে রয়েছে।
যুবরাজ মুহাম্মাদ এই বৈঠকে আরো বলেছেন, ফিলিস্তিন সমস্যা তার সরকার বা জনগণের কাছে প্রধান সমস্যা নয়। তাদের কাছে প্রধান সমস্যা হলো ইরান। আরটিএনএন