বার্তা সংস্থা ইকনা: ৪০ বছর পূর্বে এক ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের এই ক্ষুদ্র পাণ্ডুলিপিটি ফিন্সবারো পার্কের একটি বাইয়ের দোকানে খুঁজে পান। তখন তিনি এই ক্ষুদ্র পাণ্ডুলিপিটি গাইলস লেন শহরের ক্যানটারবারি এলাকার মসজিদের প্রধান রাশিদ সুহাভানকে হাদিয়া করেন। হাদিয়া করার সময় এই পাণ্ডুলিপিটির মূল্য এবং বয়স সম্পর্কে কেউ অবগত ছিল না।
দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সম্প্রতি রশিদ সুহাভান উক্ত ক্ষুদ্র পাণ্ডুলিপি লক্ষ করে দেখেন যে, এটি অনেক আগে হাতে লেখা হয়েছে। সকল শব্দ অর্থাৎ ৮৪ হাজার শব্দ হাতে লেখা হয়েছে এবং এটি লেখার জন্য প্রাচীন আরবি অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন: আমি সঠিক বলতে পারব না এই পাণ্ডুলিপিটি লিখের জন্য আরবি বর্ণমালার কোন ফ্রন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ বর্তমানে পবিত্র কুরআনের সকল পাণ্ডুলিপিতে স্ট্যান্ডার্ড বর্ণমালাতে লেখা হয়। কিন্তু পূর্বে বিভিন্ন ফ্রন্টে আরবি বর্ণমালা লেখা হত।
বর্তমানে পবিত্র কুরআনের যে সকল পাণ্ডুলিপি রয়েছে সেগুলোর প্রতি পৃষ্ঠায় ১৩ থেকে ১৫টি লাইন রয়েছে। কিন্তু পবিত্র কুরআনের এই ক্ষুদ্র পাণ্ডুলিপির প্রত্যেক পৃষ্ঠায় ১৮টি করে লাইন রয়েছে।
এই ক্ষুদ্র পাণ্ডুলিপিটির কভার ছিঁড়ে গিয়েছে এবং পৃষ্ঠাগুলো হলুদ বর্ণের হয়ে গিয়েছে। তবে তিনি এটি সংস্করণ করতে চাচ্ছে না। কারণ তিনি মনে করছেন সংস্করণ করতে গেলে পূর্বের থেকে এর পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
এই বইটি শুধুমাত্র ম্যাগনিফাইং গ্লাসের মাধ্যমে পড়া সম্ভব। কারণ এই বইটির অক্ষর অনেক ক্ষুদ্র আকারে লেখা হয়েছে। এমনকি ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করেও অতি কষ্ট করে এটি পড়তে হয়। কারণ এর প্রতিটি বাক্যের দূরত্ব এতটাই কম যে তা বোঝ অনেক কষ্টকর।
বার্নার্ড কুইরিচ কোম্পানির বই বিক্রেতা অ্যালেক্স ডি এই পাণ্ডুলিপিটির ছবি দেখে ধারণা করেছেন এটির বয়স প্রায় ১২০ বছর হবে।
iqna