 
                          
 
বার্তা সংস্থা ইকনা: বেনিনের এই ছাত্রের নাম থিবাট গবতোলসি জিবাউডি (২৭)। তুর্কি স্কলারশিপ নিয়ে প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করার জন্য তিনি ২০১৭ সালে তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
তুরস্ক পৌঁছানোর আগে থিবাট বেনিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। সেখানে ১৭ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো মুসলিমদের একটি গ্রুপের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল।
গিবাট বলেন, ‘আমি আযান শুনেছি এবং এটি পছন্দ করতাম কিন্তু কখনো মনে হয়নি যে আমি একদিন মুসলিম হব।’
অ্যাটিকু আমাদু নামে গিবাটের একজন মুসলিম বন্ধুও আঙ্কারায় পড়াশোনা করছেন। তুরস্কে রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতারের জন্য ‘আসমা কোপ্রু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে ছাত্রদের একটি সংগঠন রয়েছে। গত বছরের রমজানে গিবাটকে কয়েকবার ইফতারের জন্য তার ওই বন্ধু তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
গিবাট বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তখন মুসলিম ছিলাম না। যাইহোক, আমি ওইসময়ে বন্ধুদের সঙ্গে ১৪ দিন রোজা রেখেছিলাম। তারপর থেকেই আমি ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও শিখতে চেষ্টা করেছি।’
তার বন্ধুদের একজন মালির নাগরিক মাহমুদ কোন্টা, যিনি আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন। তিনি গিবাটকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী সম্পর্কে বলেছেন।
গিবাট বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণের আগে আমি বেশ কয়েকবার মাহমুদ কোন্টার কাছে কুরআন পড়েছি।’
২০১৭ সালে তুর্কি ভাষা অধ্যয়নের পর তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
তিনি বলেন, ‘আমার সুপারভাইজার জেহারা সারিসেক আমাকে আমার বিশ্বাস সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করেন এবং পরে ইসলামে ধর্মান্তরের জন্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন ইসলামে ধর্মান্তরের পর আমার কিছু খ্রিস্টান বন্ধু আমার সিদ্ধান্তকে পছন্দ করেনি। কিন্তু এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই এবং মুসলিম হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এখন থেকে নিয়মিত দৈনিক পাঁচ বার নামাজ আদায় করি।’ ওয়ার্ল্ড বুলেটিন