বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তাকওয়ার সংজ্ঞা বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আলী (আ.) বলেছেন, আল্লাহকে ভয় করা, কুরআন অনুযায়ী আমল করা, অল্পে তুষ্ট থাকা এবং মৃত্যুদিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়াই তাকওয়া। তাকওয়া সব কল্যাণের আধার, আল কুরআনে সর্বাধিক উল্লিখিত একটি মহৎ গুণ। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য, কাছের অথবা দূরের সকল কল্যাণের মূল হলো তাকওয়া।
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত সে, যে তোমাদের মধ্যে অধিক পরহেজগার বা মুত্তাকী। (সুরা হুজুরাত : ১৩)
তাকওয়া অবলম্বনকারী ব্যক্তিদের আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক দ্বিগুণ পুরস্কার দেয়া এবং তার পথচলার জন্য আলোর ব্যবস্থা করাও তাকওয়ার একটি অন্যতম ফলাফল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তার রাসুলের প্রতি ইমান আনো, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদের দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদের নূর দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা হাদিদ : ২৮)