ভারত ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ভারত শত শত মানুষকে কোনো আদালতের রায় ছাড়াই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে — এমন একটি পদক্ষেপ যা অধিকারকর্মীরা "জাতিগত বৈষম্যের ভিত্তিতে অবৈধ বহিষ্কার" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
নয়া দিল্লি বলছে যে এই বহিষ্কৃতরা অবৈধ অভিবাসী। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী সরকার অভিবাসন বিষয়ে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে, বিশেষত বাংলাদেশি মুসলমানদের বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদেরকে “উইপোকা” ও “অনুপ্রবেশকারী” বলে অভিহিত করেছেন।
এই পদক্ষেপগুলো ভারতে বসবাসকারী প্রায় ২০ কোটি মুসলমান, বিশেষত বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে (যারা ভারতের পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যায় বসবাস করেন) উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক, যারা তিনদিক থেকে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে, ২০২৪ সালের বিদ্রোহের পর থেকে আরও খারাপ হয়েছে। ওই বিদ্রোহে ভারতের মিত্র শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে।
তবে ২২ এপ্রিল ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত দেশে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযান শুরু করে এবং এরপর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করে।
নয়া দিল্লি পাকিস্তানকে এই হামলার জন্য দায়ী করে, যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই উত্তেজনা পরে চারদিনব্যাপী একটি সামরিক সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে ৭০ জনের বেশি নিহত হয়।
ভারতের কর্মকর্তারা দেশজুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা অভিযান চালিয়েছেন, যেখানে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের মধ্যে অনেককে জোর করে অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ জানিয়েছে, মে মাস থেকে ভারত ১৬০০ জনের বেশি মানুষকে সীমান্ত পেরিয়ে পাঠিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই সংখ্যা ২৫০০ পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে প্রমাণ থাকায় ১০০ জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতের নাগরিক। 4291864#