IQNA

খাশোগিকে চুপ করিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ

23:28 - November 23, 2018
সংবাদ: 2607326
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের কর্মকর্তাদের গত মাসে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক গিনা হ্যাসপেল আভাস দিয়েছিলেন, তাদের কাছে একটি কল রেকর্ডিং আছে, যাতে নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে চুপ করিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান।

বার্ত সংস্থা ইকনা: তুরস্কের একটি দৈনিকের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমনটিই বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তুর্কি কর্মকর্তারা বলেন, তাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই।

ছয় সপ্তাহ আগে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজ আনতে গেলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের প্রদায়ক জামাল খাশোগিকে।

সৌদি কর্মকর্তাদের ভাষ্য-এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মদ আগে থেকে কিছুই জানতেন না।

এ রেকর্ডিংয়ের সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আপনাদের উচিত তাদের জিজ্ঞাসা করা।

তবে সিআইএ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তুরস্কের হুররিয়াত পত্রিকার কলামনিস্ট আব্দুল কাদের সেলভি বলেন, আরেকটি রেকর্ডিংয়ের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এতে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও তার ভাই ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথোপকথন রয়েছে।

রেকর্ডিংয়ে সৌদি প্রশাসনের সমালোচনা করে খাশোগি যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেছেন, তা নিয়ে দুই ভাই কথা বলছিলেন।

সেলভির মতে, তুরস্ক সফরের সময় গিনা হ্যাসপেল এ ব্যাপারে আভাস দিয়েছিলেন। এমবিএসের সমালোচক খাশোগিকে নিয়ে দুই ভাই ফোনে আলাপ করেছেন বলে তাদের কাছে রেকর্ডিং আছে।

তুরস্কের দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ যত দ্রুত সম্ভব খাশোগিকে চুপ করিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আড়িপেতে সেই ফোন কল রেকর্ড করেন।

সেই নির্দেশ পালন করতেই পরবর্তী সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা এ কলামনিস্টকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হলে আরও বিস্ময়কর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সেলভি।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, সৌদি নেতৃত্বের উচ্চপর্যায় থেকে খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ এসেছিল।

একের পর এক পরস্পর বিপরীত ব্যাখ্যা দেয়ার পর গত সপ্তাহে রিয়াদ বলেছে, খাশোগিকে সৌদি আরবে ফেরত নেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হত্যা করে তার অঙ্গ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, এ সাংবাদিককে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুবরাজ সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত বলে জানায়নি সিআইএ। তিনি সৌদি আরবের নেতৃবৃন্দের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। কারণ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

captcha