বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: নিউজিল্যান্ড রেডিও প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত মসজিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ৬ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়েছে।
এই তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিমান খরচ, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম এবং বার্নহ্যামের সামরিক ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের জন্য হাজার হাজার খাবার প্রস্তুত করার জন্য ৬ লাখ ৯ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এই সকল খরচ অবকাঠামো বাজেট থেকে এসেছে।
এছাড়াও, নথিগুলি দেখায় যে ডিফেন্স গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা প্রাথমিক পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রবেশ করেছে। ক্রাইস্টচার্চ সহ নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জসিন্ডা আরডার্নের সফরের জন্য ২৩ বার আকাশপথ সহকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস স্থানান্তর করার জন্য মোট ৮৫২ বার ভ্রমণ করা হয়েছে।
বার্নহ্যাম মিলিটারি ক্যাম্পে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ৪০০ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার প্রথম দিকে ৫৫০ সেনা মোতায়েন করা হয়ে।
২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলাকালীন সময়ে আল নূর মসজিদ এবং ক্রাইস্টচার্চে লিনউড ইসলামিক সেন্টারে অস্ট্রেলিয়ার ২৮ বছরের এক সন্ত্রাসী বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। এই গুলিবর্ষণ নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলা। এতে প্রায় ৫১ জন নিহত হয় ও কমপক্ষে ৫০ জনের মত গুরুতরভাবে আহত হয়। অভিযুক্ত অপরাধী, অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এই উন্মাদ সন্ত্রাসী সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে আক্রমণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। iqna