বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: চীনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওউই সাংবাদিকদের বলেন, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের বেশ কয়েকটি শহরে উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
হুবেই প্রদেশের উহানে, যেখান থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। জিয়াওউই বলেন, সংক্রমণগুলো ‘নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে’ রয়েছে।
এদিকে চীনে রোববার থেকে সব ধরনের বন্যপ্রাণী বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রাণীর শরীর থেকে ওই ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এটি শনাক্ত করা যায়নি।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু এখনও কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি-এমন অবস্থা একদিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে। তাই লক্ষণ না দেখা দিলে একজন ব্যক্তি জানতেও পারবেন না তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু তারপরও রোগটি ছড়াতে পারে।
নতুন এই ভাইরাস সম্পর্কে এখন এমনটাই জানা যাচ্ছে। যা সার্স ভাইরাস (চীনে সবশেষ ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস) ও ইবোলার চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। কারণ এসব ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ দেখা দেয়ার পরই তা ছোঁয়াচের মতো কাজ করে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের রোগী শনাক্ত করে তাকে আলাদা রেখে পর্যবেক্ষণ করা সহজ। কিন্তু নতুন ভাইরাসের ক্ষেত্রে সেটা বেশ কঠিন।
সূত্র; rtvonline