বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: থাই পুলিশ জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি শপিংমলে এক সেনার গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর হেলমেট ও পোশাক পরে হামলাকারী জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। হামলার আগে সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী তার ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে লিখেছে, মৃত্যু সবার জন্য অবশ্যম্ভাবী। এছাড়া সে তার পেজে হাতে পিস্তল ও গুলির ছবিও পোস্ট করে। তাতে ক্যাপশন লেখে, ‘উত্তেজিত হওয়ার সময় এসেছে’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিগুলিতে দেখা যায় যে, থাইল্যান্ডের র্যাচসিমার নাখিচেন শপিং সেন্টার এক সেনা এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে।
থাইল্যান্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারী একজন জুনিয়ার অফিসার। এক কমান্ডারের উপর হামলা চালিয়ে গ্যারিসন থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি করেছে।
এই সেনা প্রথমে বৌদ্ধ মন্দিরে গুলি চালায় এবং তারপরে শহরের শপিং মলে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলা চালানোর আগে এই সেনা একটি গাড়ি চুরি করেছে।
ব্যাংকক পোস্টের মতে, সন্দেহভাজনের বয়স ৩২ বছর। হামলাকারী বেশ কয়েক জন ব্যক্তিকে জিম্মি করেছে। তবে থাই কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত করেনি।
থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন: "আমরা জানি না, কেন সে এধরণের কাজ করেছে।" মনে হয়, সে পাগল হয়ে গিয়েছে।
থাই পুলিশ ওই ব্যক্তির নাম "জাকরপান্ত উমা" বলে ঘোষণা করেছে। "জাকরপান্ত সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে সে লিখেছে যে, "সকলের জন্য মৃত্যু অনিবার্য"। iqna