ওই মামলায় মোট ৪৯ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। জীবিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিজেপির সিনিয়র নেতা এলকে আদভানি, মুরালি মনোহর যোশী, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি’র ফায়ার ব্র্যান্ড নেত্রী উমা ভারতী প্রমুখ।
মামলার ৮৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মারা গেছেন ১৩৪ জন। নিখোঁজ অনেকে।
এরই মধ্যে মসজিদের বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে চলা মামলার রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। গত ৯ নভেম্বর পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মসজিদ ভাঙার ঘটনাকে আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন বলেও আখ্যা দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যেই মসজিদের সেই জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে।
বুধবারের রায় প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকী বলেছেন, ‘২৭ বছর আগে অযোধ্যায় যা ঘটেছিল তা রাতের অন্ধকারে নয়, বরং দিনের আলোতেই হয়েছিল। গোটা দেশ তা দেখেছে। এক্ষেত্রে আদালতের রায়ে এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে দেশে আর কোনও ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধাচরণে কারও সাহস না হয়।’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, টাইমস অব ইন্ডিয়া