নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার সময় “জাইনা আলী” একটি বেসরকারি সংস্থার গ্রাহক সেবা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনার পরে, তিনি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সহায়তা করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পুলিশ কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করার পরে, তিনি পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক নকশাকৃত ও অনুমোদিত একটি হেড স্কার্ফ পরে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। জাইনা আলী সেদেশের পুলিশ বাহিনীর প্রথম হিজাবী নারী অফিসার।
তিনি বলেন: আমার অনেক ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ইউনিফর্ম পরে আমি সমাজের সেবা করবো এবং এরসাথে আমি হিজাবও ব্যবহার করতে পারবো। আমি মনে করি পুলিশ বাহিনীতে হিজাব অনুমোদনের পর মুসলমানেরা পুলিশ বাহিনী যোগদানের জন্য আগ্রহ পোষণ করবেন।
ক্রিস্টচর্চায় দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে জাইনা আলী বলেন: আরও আগে যদি পুলিশ বাহিনীতে অংশগ্রহণ করতাম তাহলে ঐ ঘটনায় হতাহত মুসলমানদের সহায়তা করতে পারতাম।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ঘোষণা করেছে: পুলিশ বাহিনীতে বিভিন্ন দক্ষতা সম্পন্ন সদস্য এবং বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের অনুসারীদের প্রয়োজন। এদেশের সংখ্যালঘুদের সেবা করার জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বৈচিত্র্য অপরিহার্য। iqna