না, এইসব পরিচয় ও মর্যাদা সত্য হওয়া সত্ত্বেও ফাতিমা কেবল এসবেই সীমিত নন। ফাতিমার তুলনা কেবলই ফাতিমা”। “হ্যাঁ, নবী-নন্দিনী ফাতিমা যাহরার মাহাত্ম্য যতই বলা হোক না কেন, তা অপূর্ণই থেকে যাবে ঠিক যেমনি জানা যায়নি তাঁর পবিত্র কবর কোথায় রয়েছে। তিনি কেবল সর্বকালের সেরা নারীই ছিলেন না। বলা হয় মহান আল্লাহর পর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলেন মহানবী (সা) এবং তাঁর পর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলেন আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ)। আর এ দু'জনের পরই সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলেন হযরত ফাতিমা। তাই এমন ব্যক্তিদের মহিমা ও মহত্ত্ব পুরোপুরি তুলে ধরা মহান আল্লাহর পর কেবল এই তিন শীর্ষ সৃষ্টির পক্ষেই সম্ভব। ইমাম হাসান ও হুসাইনসহ বিশ্বনবীর আহলে বাইতের ১১ জন সদস্য মা ফাতিমাকে তাঁদের জন্য আদর্শ বলে মনে করতেন।
ফাতিমা যাহরা (সা.আ) মানবজাতির চিরন্তন গৌরব ও আদর্শ মানুষের প্রতীক। তিনি মানব জাতির জন্য অসাধারণ ত্যাগ, বিশ্বস্ততা, অন্যায়ের ব্যাপারে আপোসহীনতা, সততা, দানশীলতা, ধৈর্য, চারিত্রিক পবিত্রতা, আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টিসহ অনেক মহান স্বর্গীয় গুণের আদর্শ। স্নেহময়ী জননীর মত বিশ্বনবীর সেবা-যত্ন করা এবং বিপদের সময় তাঁর সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য মহীয়সী নারী ফাতিমা'র অন্য একটি উপাধি উম্মে আবিহা বা পিতার জননী। বিশ্বনবী (সা.) তাঁকে সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ নারী বলে উল্লেখ করেছেন। রাসূলে খোদা বলেছেন, 'ফাতিমা আমার দেহের অংশ, যা কিছু তাঁকে সন্তুষ্ট করে তা আমাকে সন্তুষ্ট করে এবং যা কিছু আমাকে সন্তুষ্ট করে তা আল্লাহকেও সন্তুষ্ট করে, আর যা কিছু ফাতিমা কে কষ্ট দেয়, তা আমাকে কষ্ট দেয়, আর যা আমাকে কষ্ট দেয়, তা আল্লাহকেও কষ্ট দেয়।' হযরত ফাতিমা বেহেশতে সর্ব প্রথম প্রবেশ করবেন বলে বিশ্বনবী- উল্লেখ করেছেন।
তেসরা জমাদিউস সানি বেহেশতি নারীদের সর্দার হযরত ফাতিমা (সালামুল্লাহি আলাইহার) শাহাদত বার্ষিকী। তাঁর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সবাইকে জানাচ্ছি গভীর শোক ও সমবেদনা এবং বিশ্বনবী (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শানে পেশ করছি অশেষ দরুদ আর সালাম।
নবী নন্দিনী হযরত ফাতিমা (সা. আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ইরাকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আহলে বাইত (আ.)এর ভক্ত ও অনুরাগীগণ পবিত্র নগরী নাজাফে ইমাম আলী (আ.)এর মাযারে শোক ও সমবেদনা জানাতে এবং শোকানুষ্ঠান পালনের জন্য উপস্থিত হয়েছেন। iqna