IQNA

সর্বোচ্চ নেতা;

আমেরিকা বাস্তবে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে ইরান পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো অনুযায়ী কাজ করবে

15:55 - February 07, 2021
সংবাদ: 2612219
তেহরান (ইকনা): ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইরান কেবল তখনি পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পরিপূর্ণভাবে মানতে শুরু করবে যখন আমেরিকা বাস্তবে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে। শুধু মুখে বললে বা কাগজে লিখে রাখলে হবে না। তিনি আজ (রোববার) বিমান বাহিনী ও অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ও পাইলটদের এক সমাবেশে এ কথা বলেন।

সর্বোচ্চ নেতা আজ বিমান বাহিনী ও অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ও পাইলটদের এক সমাবেশে এ কথা বলেন।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেছেন, ১৯৭৯ সালের এই দিনে (ফার্সি ১৯ বাহমান) ইমাম খোমেনী (রহ.)’র প্রতি বিমান বাহিনীর একাংশের ঐতিহাসিক আনুগত্য ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ঐ ঘটনা অনেকের জন্যই বিস্ময়কর ছিল। ঐ দিনের ঘটনায় প্রমাণিত হয় আমেরিকা হিসাব-নিকাশে ভুল করেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন,আমেরিকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া লজ্জাজনক ঘটনাবলী ও ট্রাম্পের পতনের মধ্যদিয়ে দেশটির সম্মান ও শক্তির পতন এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তিনি পরমাণু সমঝোতা ও নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতাদের নানা বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,আমেরিকা ও ইউরোপ কোনো ধরণের শর্ত আরোপের অধিকার রাখে না। কারণ তারা পরমাণু সমঝোতায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেগুলো লঙ্ঘন করেছেন। এখন যে পক্ষ শর্ত আরোপ করতে পারে সেটা হলো ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। কারণ ইসলামী ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেছে।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন,ইরান কেবল তখনি পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পরিপূর্ণভাবে মানতে শুরু করবে যখন আমেরিকা মুখে বা কাগজে নয় বরং বাস্তবে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে। বাস্তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করে দেখবে ইরান। এটাই হলো ইসলামী ইরানের চূড়ান্ত ও অলঙ্ঘনীয় নীতি। এ বিষয়ে দেশের সব কর্মকর্তা একমত। কেউ এই নীতি লঙ্ঘন করবে না।


আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন,আমেরিকা ইরানের বিষয়ে হিসাব-নিকাশে ভুল করেই যাচ্ছে। কারণ তারা ইরানি জাতিকে ভালোভাবে চিনতে পারেনি,বুঝতে পারেনি।

তিনি বলেন,ইরানকে কাবু করতে আমেরিকার নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা তাদের হিসাব-নিকাশে ভুলের আরেকটি উদাহরণ। আমেরিকার এক নম্বর আহাম্মকদের একজন দুই বছর আগে বলেছিল তারা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তেহরানে এসে ঈদের উৎসব পালন করবে। এখন ঐ ব্যক্তিই ইতিহাসের ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে এবং তার বসকেও অপমানজনক ভাবে লাথি মেরে হোয়াইট হাউজ থেকে বের করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন,এই অঞ্চলে আমেরিকার অনুগত দেশগুলো বিশেষকরে অবৈধ ইসরাইল এখন হতবিহবল হয়ে পড়েছে এবং উল্টাপাল্টা বকছে, কারণ তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও দেশের ভেতরে আমেরিকার বাস্তব অধঃপতনে ভীত-সন্ত্রস্ত ও উদ্বিগ্ন।

১৯৭৯ সালের এই দিনে ইরানের বিমান বাহিনীর একদল কমান্ডার ও সদস্য ইসলামি বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর এ দিনে বিমান বাহিনীর লোকজন সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসছেন। iqna

captcha