আয়াতুল্লাহ সিস্তানির সাথে পোপ ফ্রান্সিসের ঐতিহাসিক বৈঠকটি গতকাল ইরাকি সময় সকাল আটটায় শুরু হয়েছে।
কোন প্রকার মিডিয়া কভারেজ ছাড়াই এক ঘণ্টার এই বৈঠকটি এই দুই ধর্মীয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভ্যাটিকান শুক্রবার থেকে ইরাকি যাত্রা শুরু করে বেশ কয়েকজন ইরাকি নেতা এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে বৈঠক করেছে।
করোনা মহামারি শুরু হবার পর এটাই পোপের প্রথম বিদেশ সফর এবং এই প্রথম কোনো পোপ ইরাক সফরে গেলেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এবং নিরাপত্তাজনিত বিষয় বিবেচনায় নিলে এটাকেই পোপের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্যাথলিক গির্জার ৮৪ বছর বয়স্ক এই ধর্মগুরু এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অনুভব করেছেন এই সফর করা তার একটা কর্তব্য। তিনি চারদিনের ইরাক সফরে বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করবেন।
৫ম মার্চ প্রথমবারের মতো পোপ ফ্রান্সিস ইরাকে সফর করেছেন। ইরাকে প্রবেশ পর বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পোপ ফ্রান্সিসকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ, প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা আল-কাজিমি এবং সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান।
ভ্রমণের প্রথম দিনেই তিনি ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহর সাথে বৈঠক করেন।
পোপ ফ্রান্সিস ইরাক সফরকালে আল-হাশদ-শাবির অন্যতম কমান্ডার রায়ান আল-কালদানিকে তাঁর বিশেষ তসবিহ উপহার দেন।
রায়ান আল-কালদানি হলেন ব্যাবিলনীয় ব্রিগেডের ক্রিশ্চিয়ান কমান্ডার, যা আল-হাশদ আল-শাবির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এসময় আল-হাশদ আল-শাবি সংগঠনের প্রধান ফালাহ আল-ফাইয়াজ উপস্থিত ছিলেন। iqna