কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: আল আজহার ফতোয়া কমিটির সাবেক প্রধান ‘আব্দুল হামিদুল ওতরিশ’, ইসরাইলি ইহুদি সামরিক আইনজ্ঞের অবমাননাকর উক্ত এবং সমসময়ে বিক্ষোভের জন্য সালাফিদের দাওয়াত ও পবিত্র কুরআন নিয়ে বিক্ষোভ কারার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন: পবিত্র কুরআন নিয়ে বিক্ষোভ করা একটি অতি জঘন্য এবং অপমান জনক কাজ।
আব্দুল হামিদ, পবিত্র কুরআনে কুদস শব্দের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন: পবিত্র কুরআনে কুদস শব্দের শাব্দিক অর্থ অনেক বার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও হযরত মুহাম্মাদ (সা.) থেকে বর্ণিত অনেক হাদীসে মসজিদুল আকসা ও কুদসের (জেরুজালেম) গুরুত্বের কথা উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়াও এব্যাপারে মিশরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র আইনজীবী শুকী আব্দুল লতিফ বলেছেন: কুদস শব্দের শাব্দিক অর্থ পবিত্র কুরআনে অনেক বার উল্লেখ রয়েছে। বিশেষ করে রেহলাতে এসরা এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর মিরাজ সম্পর্কিত আয়াতে সহ অন্যান্য আয়াতে কুদস শব্দটি উল্লেখ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন: পবিত্র কুরআন সম্পর্কে ইসরাইলি ইহুদি এই আইনজ্ঞের কোন ধারণা নেই। এমনকি তওরাত সম্পর্কেও তার কোন ধারণা নেই।
আব্দুল লতিফ আরও বলেন: যায়নবাদীরা এমন কোন অবস্থানে নেই যে তারা পবিত্র কুরআন সম্পর্কে মন্তব্য করবে। এরাই তাওরাত গ্রন্থকে বিকৃত করেছে এবং (তাওরাতে) মহান আল্লাহকে দরিদ্র ও নিজেদেরকে ধনী বলে উল্লেখ করেছে।
ইসরাইলি ইহুদি আইনজ্ঞ রবি প্রিটেস, টায়াসমুনা নামক যায়নবাদীদের উপ শহরের একটি সামরিক ধর্মীয় স্কুলে তার নিজ বক্তৃতায় দাবি করেছে: ইসলাম ধর্মে মসজিদুল আকসা’র কোন মূল্য নেই এবং মুসলমানদের কাছে এ মসজিদের কোন স্থানই নেই।
এছাড়াও তার বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করে, ৯০ শতাংশ আরবি ভাষী জানেনা যে, কুরআন শরিফে কিসের কথা উল্লেখিত রয়েছে এবং এর মূল বিষয়বস্তু কি। আমরা এ ব্যাপারে তাদের থেকে অনেক বেশি সচেতন।
2612677