World Bulletin সংবাদ সংস্থার উদ্ধৃত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমারের সরকারের নতুন পরিকল্পনা তথা সরকার কর্তৃক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে এবং তাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো হওয়ার সাথে সাথে সংখ্যালঘু মুসলমানেরা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য নৌকায় করে থাইল্যান্ডের পারি জমাচ্ছে। যতেকরে তারা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারে।
এসকল রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে এবং শিশুদের মধ্যে অনেকেরই পিতা-মাত অথবা কোন অভিভাবক তাদের সাথে নেই।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের শিশু অধিকার গবেষক ইলিয়াস ফার্মার জানিয়েছেন: রোহিঙ্গা শিশুদের একটি নিরাপদ পরিবেশের প্রয়োজন যাতে করে মিয়ানমারের সহিংসতার এবং কঠিন যাত্রার পর তারা শস্তি খুঁজে পায়।
তিনি বলেন: কিন্তু যে সকল রোহিঙ্গা মুসলমানেরা থাইল্যান্ডের উপকূলে যাচ্ছে থাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে এবং তাদেরকে মানব পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়ে অধিক ঝুঁকির সম্মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারকারীদের ফাঁদে পরেছে এবং কেউ কেউ মাছ ধরার নৌকায় অথবা কৃষকদের কাছে দাসী হিসাবে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, থাই অভিবাসন কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানদের স্থানান্তর করার জন্য মানব পাচারকারীদেরকে সহযোগিতা করছে।
২০১৩ সালে ২০৫৫ জন রোহিঙ্গা মুসলমানকে থাইল্যান্ডের অনুমোদন দিয়ে সেদেশে থাকার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের সাথে অবৈধ অভিবাসীর মত ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা স্বত্বেও শরণার্থীদের সহযোগিতার জন্য কোন কাজ করা হচ্ছেনা।
থাই সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে পুরুষ ও ছেলেদের অভিবাসন কেন্দ্রে আটক করে রেখেছে এবং নারী ও শিশুদেরকে সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে বন্ধী করে রাখা হয়েছে এবং তাদেরকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, থাই কর্মকর্তারা কিছু রোহিঙ্গা মুসলমানদের এ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে কিন্তু তরা এ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পরছে।
2695210