আভা’র উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা : শহরের ‘জিহাদ’ জামে মসজিদে এক সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ পরিষদ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গজনী শহরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুসা খান আকবারযাদাহ এ সমাবেশে বক্তৃতাকালে বলেন : শান্তি ও সন্ধি প্রতিষ্ঠার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাবো।
তিনি বলেন : বর্তমান যুগে গজনি শহর, একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং সুলতান মাহমুদের যুগে প্রাচ্য ও পশ্চিমে ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র ছিল। এ ক্ষেত্রে অনেক চেষ্টা চালানো হয়েছে।
এ পরিষদ গঠনকারীদের অন্যতম মৌলভি সৈয়দ ইসমাঈল বলেন : এ পরিষদটি স্বতন্ত্র এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া কোন পক্ষের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
তার সংযোজন : সরকার ও সশস্ত্র সরকার বিরোধী উভয় দলের মাঝে আলেম সমাজের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এরই ভিত্তিতে সশস্ত্র সরকার বিরোধীদেরকে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতি আহবান জানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পরিষদটি।
গজনি শহরের শিয়া ওলামা পরিষদের সভাপতি হুজ্জাতুল ইসলাম আসগারি এ পরিষদ গঠনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন : নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শিয়া আলেম সমাজ সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিশ্বের অনেক মুসলিম রাষ্ট্র বর্তমানে যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে –এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন : মুসলিম বিশ্বের এ সকল যুদ্ধ সাম্প্রদায়িক বিভেদ থেকে উৎসারিত নয়; বরং শত্রুরা ইসলাম ধর্মকে টার্গেট করেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য শিয়া বা সুন্নি নয় বিশ্বের মুসলমানদেরকে দূর্বল করা।
শিয়া ওলামা পরিষদের সদস্য হুজ্জাতুল ইসলাম তাওয়াসসুলি বলেন : একজন মুসলমানের রক্তপাত রোধ করতে শিয়া আলেম সমাজ কোন প্রকার চেষ্টার ত্রুটি করবে না।
উল্লেখ্য, গজনীর উচ্চতর শান্তি পরিষদ বহু ত্যাগ স্বীকার সত্ত্বেও সশস্ত্র সরকার বিরোধীদেরকে সন্ধি ও শান্তির দিকে আনতে তাদের গৃহীত সকল পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে।#2865321