IQNA

'সব নিষেধাজ্ঞা তোলা ছাড়া পাকা সমঝোতা নয়'

20:22 - April 09, 2015
সংবাদ: 3115025
আন্তর্জাতিক বিভাগ: ইসলামী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, সম্প্রতি ছয় জাতি গ্রুপের সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনায় (চূড়ান্ত বা পাকাপোক্ত) কোনো সমঝোতা অর্জিত হয়নি এবং সম্ভাব্য সমঝোতা বা চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়েও বাধ্যতামূলক অবস্থান নেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।

বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) কবি ও বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতের প্রশংসাকারী শিল্পীদের এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেছেন। নবী-নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা জাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা)'র পবিত্র জন্ম-বার্ষিকীর প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মহিলাও উপস্থিত ছিলেন।
খাতুনে জান্নাতের জন্ম-বার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা পরমাণু আলোচনা প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, যে সমঝোতা ইরানের মুসলিম জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে আমি সেই সমঝোতাকে শতভাগ সমর্থন জানাবো, আর কেউ যদি বলেন যে আমি সমঝোতা অর্জনের বিরোধী তা হলে তা হবে অসত্য বক্তব্য।
তিনি ইরানের প্রতিপক্ষকে আন্তর্জাতিক সমাজ হিসেবে উল্লেখ করার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইরানি জাতির প্রতিপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে এবং এরা হল আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশ, আন্তর্জাতিক সমাজ নয়; বরং আন্তর্জাতিক-সমাজ হলো সেই ১৫০টি দেশ যার প্রধান ও প্রতিনিধিরা কয়েক বছর আগে তেহরানে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ কয়েকটি দেশ নিজেদের আন্তর্জাতিক সমাজ বলে দাবি করে তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে বলে যে দাবি করছে তা অর্থহীন বক্তব্য মাত্র। 
তিনি আরো বলেন, যদি নিষেধাজ্ঞাগুলো অবসানের বিষয়টিকে এক নতুন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয় তাহলে পরমাণু আলোচনা অর্থহীন হয়ে যাবে, কারণ, আলোচনার লক্ষ্যই হলো নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়া এবং সব নিষেধাজ্ঞাই সমঝোতা অর্জনের দিন থেকেই তুলে নিতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইয়েমেনে সৌদি হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, সৌদিরা ইয়েমেনে আগ্রাসন চালিয়ে ভুল করেছে এবং এর মাধ্যমে এ অঞ্চলে একটি কু-প্রথা চালু করলো।
তিনি ইয়েমেনের জনগণের ওপর হামলাকে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বা গণহত্যার মত বড় অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে এ ব্যাপারে বিচারের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, শিশুদের হত্যা করা, ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে দেয়া, অবকাঠামো গুড়িয়ে দেয়া এবং একটি দেশের জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করা বড় রকমের অপরাধ।
ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে সৌদি সরকার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং কখনও জয়ী হবে না বলে তিনি সতর্ক করে দেন। তিনি এর কারণ হিসেবে বলেন, ইহুদিবাদীরা সৌদিদের চেয়ে কয়েক গুণ শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও অতি ক্ষুদ্র গাজায় সফল হতে পারেনি, অথচ ইয়েমেন এক বিশাল দেশ এবং এর জনসংখ্যাও কয়েক কোটি। সূত্র: রেডিও তেহরান
3112981

captcha