কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ইসরাইলি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন হচ্ছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সদস্য। বাকি একজন ফাতাহ আন্দোলনের শহীদ ব্রিগেডের সদস্য। ছয় ফিলিস্তিনির মধ্যে পাঁচজন পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের এবং একজন দেইর আল-বাশা শহরের অধিবাসী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আন্ডারগ্রাউন্ড একটি টানেলের মধ্যদিয়ে পালিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে- গত কয়েক মাস ধরে তারা ওই টানেল খুড়েছেন। দৃশ্যত মনে হচ্ছে এসমস্ত বন্দিকে কারাগার থেকে পালানোর পর তারা অপেক্ষমান একটি গাড়িতে করে চলে যান। রাত একটার সময় ফিলিস্তিনি বন্দিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারাগারের একটি কক্ষের ভেতর থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি টানেল তৈরি করেছিল। এসব ফিলিস্তিনিকে আটকের জন্য পশ্চিম তীরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ ঘটনাকে বীরত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন। হামাসের অন্যতম মুখপাত্র ফাউজি বারহুম এক বিবৃতিতে বলেছেন, কারাগার থেকে এসব বন্দির পলায়ন এর মধ্যদিয়ে তাদের সাহসিকতার পরিচয় বেরিয়ে এসেছে, এটি একটি বীরত্বপূর্ণ ঘটনা। ইসরাইলের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও তারা মুক্তি অর্জন করেছেন।
এদিকে ইসরাইলি কারাগার থেকে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দীর পালিয়ে যাওয়ায় ঘটনায় হতভম্ব হয়েছে ইহুদিবাদী নেতারা। ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ওমের বারলেভ বলেছে, ফিলিস্তিনি বন্দীরা অত্যন্ত নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে কারাগার থেকে পালিয়েছে। এটা অনেক বড় ব্যাপার।
এ ছাড়া ইসরাইলের পুলিশের কর্মকর্তা এভি বিতুন বলেছেন, বন্দী পলায়নের পর গোটা ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ এ ধরণের আরও ঘটনা ঘটতে পারে। ফিলিস্তিনি বন্দীরা আক্রমণাত্বক হয়ে উঠতে পারে।
হিব্রু ভাষার ওয়েব সাইট 'ওয়ালা নিউজ' জানিয়েছে, ইসরাইলি কারাগারে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক ফাঁক-ফোকড় রয়েছে। ছয় বন্দী অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তারা পরিকল্পনা করে সফল হয়েছে। কিন্তু পালানোর কয়েক ঘণ্টা পরও ইসরাইলি কারাগারের কর্মকর্তারা বুঝতেই পারেননি কী ঘটেছে!
কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ইসরাইলি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন হচ্ছেন ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সদস্য। বাকি একজন ফাতাহ আন্দোলনের শহীদ ব্রিগেডের সদস্য।iqna