আবদুল লতিফ আল-ফৌজান মসজিদ স্থাপত্য পুরস্কারের তৃতীয় রাউন্ডে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এসকল মসজিদ নির্বাচিত হয়েছে।
পবিত্র নগরী মক্কায় সৌদি আরবের বাদশাহর বিশেষ উপদেষ্টা এবং আবদুল লতিফ আল-ফৌজান পুরস্কারের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান, এই পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আবদুল লতিফ বিন আহমদ আল-ফৌজান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশেরে মসজিদ স্থাপত্য সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞগণের উপস্থিতিতে নির্বাচিত সাতটি মসজিদের স্থপতিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
তিনটি মহাদেশের ৪৩টি ইসলামিক দেশের মোট ২০১টি মসজিদ এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। এর মধ্যে ২৭টি মসজিদ নির্বাচিত করা হয়েছে এবং তারপর এই ছোট তালিকা থেকে সাতটি মসজিদকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
আবদুল লতিফ আল-ফৌজান অ্যাওয়ার্ড "একবিংশ শতাব্দীতে মসজিদের স্থাপত্য" শব্দগুচ্ছটিকে তৃতীয় পুরস্কারের মূলমন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে মসজিদের স্থাপত্যের স্তরগুলির ভিত্তি এবং বৃহত্তর উপলব্ধি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিটি দেশের জাতীয় পর্যায়ে প্রভাব ও উপস্থিতি সহ কেন্দ্রীয় মসজিদ, জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদ, স্থানীয় মসজিদ, সেইসাথে স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত মসজিদ সহ চারটি গ্রুপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।
সাতটি শীর্ষস্থানীয় মসজিদ রিয়াদের বাদশাহ আবদুল্লাহ মালি মসজিদ, মিশরের সুহাজের আল-বসুনা মসজিদ, বাংলাদেশের আল-আহমার মসজিদ, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা মসজিদ, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সাঞ্জকলার মসজিদ, লেবাননের আল-মুখতার শহরের আল-আমির সাকিব আরসালান মসজিদ এবং মালি প্রজাতন্ত্রের জান্নাহ শহরের ফুল মসজিদ।
যুবরাজ সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ, ইসলামের পবিত্র স্থান এবং মসজিদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে এবং এই জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজনের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদের স্থাপত্য, নির্মাণ এবং অবস্থানের ক্ষেত্রে মসজিদের ভবিষ্যৎ ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন: মসজিদের স্থাপত্য শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিষয় এবং শহুরে পুনর্নবীকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত বিষয়গুলিসহ অন্যান্য বিষয়ও এর সাথে জড়িত। কারণ মসজিদগুলি যে কোনও সমাজের প্রথম ভিত্তি।
বলাবাহুল্য যে, মসজিদ স্থাপত্যের জন্য আবদুল লতিফ আল-ফৌজান পুরস্কার আল-ফৌজান সোশ্যাল সার্ভিসেস প্রোগ্রামের একটি উদ্যোগ, যা সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং পরিষেবার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সহ অনেক গুণমানের উদ্যোগের উন্নয়ন ও পরিচালনার সাথে যুক্ত।
নীচে নির্বাচিত সাতটি মসজিদের ছবি প্রকাশ করা হল:
মিশরের সুহাজের আল-বসুনা মসজিদ
বাংলাদেশের আল-আহমার মসজিদ
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা মসজিদ
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সাঞ্জকলার মসজিদ
লেবাননের আল-মুখতার শহরের আল-আমির সাকিব আরসালান মসজিদ।
মালি প্রজাতন্ত্রের জান্নাহ শহরের ফুল মসজিদ