
ওস্তাদ আয়াতুল্লাহ মীর বাক্বেরী প্রথম রমজানে অনুষ্ঠিত মজলিশে বলেছেন: ইমাম রিযা (আ) রাইয়ান ইবনে শাবীবকে বলেন : ১লা মুহররমের দিবসে হযরত যাকারিয়া (আ) দুআ করেছিলেন এবং তাঁর দুআ মুস্তাজাব ( কবূল) হয়েছিল ।
এ হাদীস থেকে আমি যা বুঝেছি তা হচ্ছে এই যে যার এ ধরণের হাজত ( প্রয়োজন ) ও মনস্কামনা আছে এবং চায় যে তার সন্তান সন্ততি উন্নতি ও প্রগতি লাভ করুক এবং তারা সাইয়িদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইনের (আ) খেদমতে নিয়োজিত থাকুক এবং চায় যে তার ধনসম্পদও সাইয়িদুশ শুহাদার (আ) খেদমতে নিয়োজিত থাকুক তার করণীয় হচ্ছে এই যে সে ১লা মুহররমের দিবসে রোযা রাখবে এবং দুআ করবে। আর এ দুআ ১লা মুহররমের দিবসে মুস্তাজাব (কবূল) হবে ।
প্রতিটি দুআর সঠিক সময়কাল আছে এবং এ দুআর বসন্তকাল ( উপযুক্ত সময়) হচ্ছে ১লা মুহররমের দিবস।
যদি কেউ শাহাদাত বরণ করতে চায় , কারো যদি মন্দ সন্তান থাকে ( এবং সে চায় যে মহান আল্লাহ তাঁকে ভালো সৎ নেক সন্তান দিন ) ইমাম রিযার (আ) বাণী থেকে আমি এমনটাই বুঝেছি যে হযরত রিযা (আ) যেন বলতে চাচ্ছেন যে ১লা মুহররমের দিবসে রোযা রাখ তোমরা এবং দুআ কর ; তোমাদের দুআ ঠিকই মুস্তাজাব (কবূল) হবে ।
এর অর্থ হচ্ছে যে ১লা মুহররম এ সব দুআ ও প্রার্থনা করা এবং তা কবূল হওয়ার ফুরসৎ ( সুযোগ) ও উপযুক্ত সময়।
১লা মুহররমের ফুরসৎ ( সুযোগ ) হচ্ছে সাইয়িদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইনের (আ) শাহাদাতের অভিমুখে বিশেষ ফটক বা দ্বার উন্মুক্ত হওয়া যা দিয়েই কেবল প্রবেশ করতে হবে (পরকালে ) এবং দুআও কবুল হবে।
এই ফুরসৎ (সুযোগ) আমাদের সবার কাজে লাগানো উচিত।
আমাদের মাওলা হযরত ইমামে যামান মাহদীর (আ) সুস্বাস্থ্য ও দ্রুত আবির্ভাব কামনা করছি । দরূদ ।
অনুবাদ: ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান