IQNA

সর্বোচ্চ নেতার সাথে আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের বৈঠক

12:21 - September 03, 2022
সংবাদ: 3472397
তেহরান (ইকনা): আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার সাধারণ পরিষদের ৭ম বৈঠকের অংশগ্রহণকারীরা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সর্বোচ্চ নেতার সাথে আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার সমাবেশের অংশগ্রহণকারীদের বৈঠক
তেহরান (ইকনা): আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার সাধারণ পরিষদের ৭ম বৈঠকের অংশগ্রহণকারীরা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার সাধারণ পরিষদের ৭ম বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা তেহরানাস্থ ইমাম খোমেনী (রহ.) নামক হুসাইনিয়ায় যোগদানের সময় আজ শনিবার, ৩য় সেপ্টেম্বর ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
 
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সাত মাথার ড্রাগনের উদ্ধত মাথা মাটিতে নুইয়ে দিয়েছে ইরান। বিশ্ব আহলে বাইত সংস্থার সপ্তম কংগ্রেসে আমন্ত্রিত সদস্য ও অতিথিদের সমাবেশে হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আজ এ কথা বলেন। তিনি বলেন আহলে বাইতের প্রেরণায় ইরান বলদর্পী ওই সাত মাথাকে পিছু হটিয়ে দিতে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
 
সর্বোচ্চ নেতার দফতরের বার্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে ওই সমাবেশে তিনি বিশ্বব্যাপী আহলে বাইতের সম্মান ও জনপ্রিয়তাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন বিশ্ব আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আহলে বাইতের পতাকা উত্তেলনকারী দেশ হিসেবে ইরান মনে করে মুসলিম বিশ্বে প্রকৃতপক্ষে কোনোরকম ধর্মীয়, জাতিগত, সাম্প্রদায়িক কিংবা বর্ণগত বিভেদ রেখা নেই। মুসলিম বিশ্বের মাঝে বিভেদ রেখা টানার চেষ্টা করছে বিশ্ব কুফরি ও বলদর্পী শক্তি। ইসলামি ইরান শত্রুদের বিচিত্র আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষেত্রে একটি বাস্তব রোল মডেল। ইরান পেরেছে একটি নবীন কিশলয়কে প্রাচীন বৃক্ষে পরিণত করতে। এই রোল মডেলের পেছনে কেবল রাজনৈতিক পন্থাই নয় বরং ইমাম খোমেনী (রহ.) এর নীতি আদর্শের অনুসরণও ভূমিকা রেখেছে।
 
অপরাপর দেশ ও জাতিকেও বলদর্পী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করার কারণে ইরান আধিপত্যবাদীদের শত্রুতা ও গা-জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান বিভিন্ন দেশে দায়েশের মতো সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপকামিতাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। সেজন্য তারা এখন ইরানভীতি, শিয়াভীতির মতো অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি আমেরিকা এখন ইরানের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করারও অভিযোগ তুলছে।
 
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন: অন্য কোনো দেশে ইরান হস্তক্ষেপ করে না। ইসলামি সরকার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অগ্রগতি রোধ করতে না পেরেই তারা এইসব অভিযোগ তুলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: সবার উচিত বলদর্পী শক্তিগুলোর নীতির বিরুদ্ধে সচেতনভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং কোনোভাবেই তাদের সহযোগিতা না করা।
 
সর্বোচ্চ নেতা বলেন: মুসলিম বিশ্বের মাঝে অবাস্তব বিভেদরেখা আঁকাই বলদর্পী শক্তিগুলোর বর্তমান নীতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে শিয়া-সুন্নি বিরোধ, আরব-আজম বিরোধ, শিয়াদের সাথে শিয়াদের বিরোধ কিংবা সুন্নিদের সঙ্গে সুন্নিদের বিরোধ লক্ষ্য করা যায় সবই বৃহৎ শয়তান আমেরিকার কাজ। ওই শয়তানের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী।
 
মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে উল্লেখ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন: শিয়া মুসলমানরা ওই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচনায় ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
 
উল্লেখ্য যে, আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থার সাধারণ পরিষদের ৭ম সভা ‌‌১ সেপ্টেম্বর ইরানের রাজধানী তেহরানে উদ্বোধন হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ড. ইব্রাহিম রায়িসী’র বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ শীর্ষক সভার উদ্বোধন হয়। ৩ দিন ব্যাপী আয়োজিত এ সভায় ইরানিসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
বলাবাহুল্য, এই শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে  ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাওলানা হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভি অংশগ্রহণ করেছেন। 4082800

 

captcha